ঢাকার দোহারে গত কয়েক দিনে পদ্মার পানি
বেড়ে তীরবর্তী সাতটি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন ও গবাদিপশু
নিয়ে লোকজন বিপাকে পড়েছে।
দোহারের মাহমুদপুর
ইউনিয়নের নারায়ণপুর, মাহমুদপুর, মৈনট, শ্রীকৃষ্ণপুর, রামনাথপুর,
হরিচণ্ডী, চরবিলাসপুর, পুরুলিয়া ও দেওভোগ এলাকা ঘুরে জলমগ্ন ঘরবাড়ি দেখা
গেছে। বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর, বিলাসপুর, হাজারবিঘা, আলীনগর, চর
লটাখোলা, ছোট রামনাথপুর, কৃষ্ণদেবপুর, নারিশা জোয়ার ও সুতারপাড়া
ইউনিয়নের মধুরচর, কাজীরচর ও নয়াবাড়ী ইউনিয়নের পানকুণ্ড প্লাবিত হয়েছে।
বিলাসপুর
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, বানের পানি
ধেয়ে এসে দ্রুত নতুন নতুন এলাকা ডুবে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকে
গবাদিপশু নিয়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে
জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। ঘরবাড়ি ছাড়াও চরবিলাসপুর ও হরিচণ্ডী
প্রাথমিক বিদ্যালয় পানির নিচে রয়েছে। ডুবে গেছে মানুষের চলাচলের
রাস্তাঘাট।
মাহমুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা-পাকা
রাস্তা ডুবে যায়। একাধারে পদ্মার ভাঙন ও নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক
মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ফসলি জমি ও মাঠ প্লাবিত হয়েছে।
উজানের নেমে আসা পানিতে প্রতিদিনই ফসলি জমি, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ডুবছে।
দোহার
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. হাবিবুল্লাহ মিয়া বলেন,
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অস্থায়ী
আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হব।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment