চট্টগ্রাম বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের ২ নং তবলী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় সন্ত্রাসী জাকের গং এর নেতৃত্ব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।
স্থানীয় জাকের বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে বাঁশখালী থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা হয়েছে।
- এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় একটা ছোট পিচ্ছি মহিলা তাদের জমিতে হাঁসের বাচ্ছা পালন করে আসছিল। এই হাঁসের বাচ্ছাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী আব্দুর রহমানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নুর মোহাম্মদ সহ তার ২ ভাই এবং তার বাব সহ ধারলো কিরিস দিয়ে হামলা শুরু করে।
উক্ত ঘটনায় রোকেয়া বেগম (৭০) ধারালো কিরিসের আঘাত পেয়ে মাথায় ৮ টি সেলায় করা হয়। বর্তমানে রকেয়া বেগম বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সেই সাথে বাঁশখালীর বঙ্গবন্ধু হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা আক্তারের মাথায় গুরুতর আহত হয়ে। তিনি ও বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এগুলো ছাড়াও উক্ত ঘটনায় জান্নাতুল বকেয়া, ওবায়দুল হক, আব্দুর রহমানসহ আরো অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পিচ্চি একটা মহিলার সাথে আব্দুর রহমান নামক একটি ছেলের সাথে হাঁস নিয়ে কথা হচ্ছিল। এই কথা গুলোকে কেন্দ্র করে নুর মোহাম্মদ (২৮) নামের একটি ছেলে কথা গুলো নিজেকে বলেছে বলে টেনে নেয়।
পরে আব্দুর রহমানকে নুর মোহাম্মদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এক পর্যায়ে নুর মোহাম্মদ গং আব্দুর রহমানের পরিবারের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়।
- এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বাঁশখালী থানাকে অবহিত করলে বাঁশখালী থানার এস আই আব্দুল জলিল বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশ থেকে সাইফুল নামের এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এই ব্যাপরে ফৌজদারী দন্ডবিধি আইনের ধারা ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২) মোতাবেক একটি মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং ৪৯(০৭)২০২০ জি আর ২৬৯/২০২০।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভোক্তভোগীরা জানায়, আমাদের এলাকায় জাকের এবং তার ছেলের অত্যাচারে আমরা টিক মতো চলাচল করতে পারছি না। কথায় কথায় আমাদের হুমকি দেয়।
আমাদের এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু করে সব কিছুতে তাদের পরিবার ত্রাস চলায়। সেই সাথে আমাদের বাড়ির সীমান দেয়ার সময় আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করে আসছে। টাকা দিতে আপারগ হওয়ায় আমাদের থেকে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর নিত। এমনকি তাদের বাড়ি তল্লাশি করলে আমাদের অনেক খালি স্টাম্প পাবেন।
উক্ত মামলার আসামীগণ হচ্ছেন বাঁশখালী থানাধীন শীলকূপ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জাকের আহমেদ এর পুত্র নূর মোহাম্মদ (২৮)
একই থানাধীন মৃত আসহাব মিয়ার পুত্র জাকের আহমদ (৪৫), সাইফুল (২৬) রেজাউল করিম (২৪)
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাঁশখালী থানার এসআই আব্দুল জলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সাইফুল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদীপক্ষের এজাহার অনুযায়ী বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেইসাথে বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টায় আছি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment