ঢাকার দোহারে একটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। উপজেলার লটাখোলা আশা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার ইকবাল হোসেনের স্ত্রী গর্ভবতী শামসুনাহারকে অসুস্থ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে জয়পাড়ার লটাখোলা আশা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করে।
শনিবার বেলা ১১ টায় ঐ হাসপাতালের অর্থ লোভী চিকিৎসক বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস ঐ প্রসূতিকে সিজার করেন এবং শিশুটির মৃত্যু হয়।
সেই মৃত নবজাতককে তাদের হাতে তুলে দিয়ে উন্নিত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। ইকবালের মা ঢাকায় না নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানায়, আশা ক্লিনিকে আই. সি. ইউ নেই এবং কোন শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় সুচিকিৎসার অভাবে নবজাতকটির মৃত্যু হয়েছে।
এবিষয়ে ঐ ক্লিনিকের চিকিৎসক. বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোন প্রকার সঠিক জবাব দিতে পারেনি।
৩৫ সপ্তাহের নবজাতকে কেন তিনি সিজার করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে তাদের মুসলেখা নিয়েই সিজার করেছি৷ তাদের বাচ্চা যে বাজবেনা আমি বুঝতে পেরেছি।
তাই তাদের দায়িত্বে সিজারের পরে বাচ্চাকে চিকিৎসা করতে ঢাকা নিতে হবে বলেও জানিয়েছি। পর্যাপ্ত সুচিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে পারবেন না যেনেও কেন ঐ রোগীকে এখানে ভর্তি করলেন এবং সিজার করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
এছারাও ৩৫ সপ্তাহের নবজাতকে কি এমন অবস্থার কারনে আপনি সিজার করলেন, যেখানে জয়পাড়া ক্লিনিক তাকে ভর্তি করেনি। এর কোন উত্তর পাওয়া যায়নি তার কাছে। হাসপাতালের কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেনের কাছে চিকিৎসকের তথ্য চাইলে কোন প্রকার কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।
চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ড, পেসক্রিপশন প্যাড এবং কোন প্রকার সনদ দেখাতেও পরেনি তিনি। কাগজ পত্র ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন ডা. বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
এবিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ঐ পরিবারের পক্ষ থেকে দোহার থানায় মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে। লাশ সুরতহাল করা হয়েছে। তারা থানায় কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা মামলা করেনি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment