সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে করোনাকালীন
সময়ে সরকারী বিশেষ সহায়তা নিতে নতুন সিমকার্ড কিনতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের
অভিযোগ তুলেছে সুবিধাভোগীরা।
বেলকুচি
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের যোগসাজশে তার
বাড়ীতে মোবাইলের সিমকার্ডের নামে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। ঐ
ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নতুন সিমকার্ড
নেওয়ার নামে এই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুবিধাভোগীরা
জানায়, আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী করনা কালীন কর্মহীনদের মাঝে সরকারী
সহায়তার টাকা আমাদের মোবাইলে আসবে। তাই আমরা মোবাইলের নতুন সিমকার্ড কিনছি।
বাহিরে সিমকার্ড বিক্রি হয় ১শ ১০ টাকা কিন্তু আমাদের প্যানেল চেয়ারম্যানের
বাড়িতে এসে ঐ সিমকার্ড ২শ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের অতিরিক্ত ৯০
টাকা যাচ্ছে। এই টাকাটা কে বা কাহারা নিবে কিছুই জানিনা।
দৌলতপুর
ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন এই প্রতিবেদকের কাছে
অতিরিক্ত টাকার নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারী সহায়তার তালিকায় ২৭০
জনের মোবাইল নম্বর ভুল ছিলো। তাই যার যার নামের নতুন সিমকার্ড কিন্তে
হচ্ছে। আমার বাড়ীতে সিমকার্ড অফিসের লোক এসে ২০০ টাকা নিয়ে সিমকার্ড
দিচ্ছে। এটা আমার করার কিছুই নেই।
বেলকুচি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, অতিরিক্ত টাকা
নেয়ার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনীয়
ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment