ঢাকার দোহারে সরকারি খালের জায়গা দখল করে
অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার হিরিক পরেছে। এতে খালের প্রশস্ততা সঙ্কুচিত
হওয়ার পাশাপাশি পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইরি-বোরো চাষে ভয়াবহ
সেচ সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা
যায়, উপজেলার নারিশার সাতভিটা, পশ্চিমচর সদর বেপারী, সুতারপাড়া,
মালিকান্দা, দোহার, বিলাসপুর, লটাখোলা, সুন্দরী পাড়া ও ধোয়াইর সরকারি খাল
দখল করে নির্মাণ করছে পাকা ভবন ও দোকানঘর। খালের মুখ বন্ধ হওয়ার ফলে
পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সেচ কাজে তেমন একটা সুবিধা পাচ্ছেন
না কৃষকেরা।
এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী মওসুমে ইরি-বোরো চাষে মারাত্মক সেচ
সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুন্দরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ
মোল্লা বলেন, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খাল। দখলদারিত্বের কারণে
এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে।
নির্মাণাধীন ভবনগুলোর জন্য খালে পানির প্রবাহ
কমে গেছে। ফলে বর্ষা মওসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি রাস্তা ও
খালের জমি এভাবে দখল হলেও প্রশাসনের নজরদারি নেই।
প্রভাবশালী হওয়ার কারণে
কেউ দখলদারদের অবৈধ কাজে বাধা দিতে কেউ সাহস পান না। অথচ কয়েক বছর আগেও
বিশাল খাল-জলাধার ছিল। শুধু এই খালই নয়, আরো বহু সরকারি পুকুর-জলাশয় ভরাট
করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে দোহারে চলছে
যেখানে সেখানে সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে জলাশয় ভরাট ও দখলের প্রতিযোগিতা;
যে কারণে দোহার উপজেলার বেশির ভাগ খাল একে একে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment