কোভিড-১৯
প্রাদুর্ভাবের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও বাড়ছে এর ব্যাপকতা। সারাবিশ্বে
সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চলছে এটি মোকাবেলার। অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক
সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ বিপজ্জ্বনক অবস্থায় থাকলেও এখানেও সম্মিলিতভাবে
চেষ্টা চলছে কোভিড-১৯ মোকাবেলার। স্থানীয়দের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন
স্থানে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিশেষায়িত কোভিড-১৯ হাসপাতল।
চট্টগ্রামের
ফটিকছড়িতেও সম্প্রতি একটি বিশেষায়িত কোভিড-১৯ হাসপাতল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
নেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বেসরকারিভাবে স্থানীয়দের অর্থায়নে এ হাসপাতল
প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ। বিশেষায়িত এ
কোভিড-১৯ হাসপাতলটি প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানিকভাবে আর্থিক
সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ। সম্প্রতি উপজেলার
সবচেয়ে বড় গ্রাম ‘হাসনাবাদ’ এর পক্ষে এক লক্ষ দশহাজার টাকার অনুদান সংগ্রহ
করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে ‘হাসনাবাদ গ্র্যাজুয়েটস ফোরাম’
নামের একটি সংগঠন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে এ অনুদান গ্রহণ করেন ফটিকছড়ি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন। ‘হাসনাবাদ গ্রেজুয়েটস ফোরাম’ এর
পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে এ অনুদান তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি
এস এম শামসুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ গ্র্যাজুয়েটস ফোরামের
মহাসচিব জহিরুল ইসলাম, প্রাক্তন মহাসচিব মাস্টার মাহমুদুল হাসান, উপদেষ্টা
মাওলানা আলীম উদ্দীন,মাস্টার আহমেদ ছাফা,মাস্টার দেলোয়ার হোসেনে,মাস্টার
আমীর হোসেন, এডভোকেট জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
অনুদান হস্তান্তরের বিষয়ে হাসনাবাদ গ্র্যাজুয়েটস ফোরামের সভাপতি এস এম
শামসুল
আলম বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে হাসনাবাদ গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণে আমরা আজ লক্ষাধিক টাকার অনুদান প্রদান করতে পেরেছি। এজন্য
গ্রামবাসীর নিকট কৃতজ্ঞ আমি। আজো জাগ্রত মানবতাবোধ, বৈশ্বিক মহামারী
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মানবিকতা আজো সজীব, আমরা এখনো অমানুষ হয়ে
যাইনি। দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাসনাবাদ গ্র্যাজুয়েটস ফোরামের আহ্বানে
সবার এমন অংশগ্রহণ সত্যিই আশাজাগানিয়া। আমরা সম্মিলিতভাবে সফল হবো
ইনশা-আল্লাহ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment