গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা তুলতো বিভিন্ন শ্রমিক কল্যাণ সংগঠন। এসব চাঁদাবাজী বন্ধে কঠোর হচ্ছে জেলা পুলিশ।
জেলার
বিভিন্ন মহাসড়কে শ্রমিক কল্যাণ নামে বিভিন্ন সংগঠন পরিবহন চাঁদা উত্তোলন
করে আসছিল। চাঁদাবাজদের কারণে জেলার পরিবহন মালিক এবং পরিবহন শ্রমিকগণ
অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
কোনভাবেই এই চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছিলনা।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হত।
যানবাহনের প্রকৃতি অনুযায়ী ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা
আদায় করা হত।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়ি চলতে দেওয়া হতনা। এমনকি
গাড়ির ক্ষতি সাধন করা হত।
চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল অনেক
গ্রুপিং। গাইবান্ধা জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, আমার বাংলা বিদ্যাপীঠের
সামনে, তুলিসীঘাট বাস স্টান্ড, ঢোলভাঙ্গা বাস স্টান্ড, সাদুল্যাপুর রোডের
খানকাশরীফ এলাকা, কৃষি ইনিস্টিটিউটের সামনের রাস্তা, নিউ ব্রীজ এলাকা,
সাঘাটা, বালাসী ঘাট, ফুলছড়ি কালির বাজার, সদর, জুমারবাড়ি, মেলানদহ ব্রীজ
পয়েন্ট, ঘাগটপার বালাসী রোড, পলাশবাড়ী বাস স্ট্যান্ড, কোমরপুর বাস
স্টান্ড, ধাপেরহাট বাস স্টান্ড, গোবিন্দগঞ্জ (উত্তর-দক্ষিন) বাস স্টান্ড,
জোসনা ফিলিং স্টেশন (গোবিন্দগঞ্জ-ঘোড়াঘাট রোড), পলাশবাড়ী ঘোড়াঘাট রোড,
গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ রোড, সুন্দরগঞ্জ, বামনডাঙ্গা, নলডাঙ্গা স্টান্ড
ইত্যাদি এসব পয়েন্টে প্রত্যেকদিন দিন রাত চাঁদা তোলা হত সিএনজি, অটো, বাস,
ট্রাক, লেগুনা, পিকআপ ভ্যান ইত্যাদি পরিবহন থেকে। অবশেষে
বাংলাদেশ
পুলিশের আইকন ও গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ তৌহিদুল ইসলামের
কঠোর নির্দেশে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি হেডকোয়ার্টার্র) মোঃ
আবু খায়ের এর মনিটরিং এ দীর্ঘদিনের পরিবহন চাঁদাবাজি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ
হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যাতে কোন ধরনের পরিবহন চাঁদাবাজি কেউ করতে না
পারে সেজন্য এখন থেকে নিয়মিত পুলিশী টহল দেওয়া হচ্ছে। বসানো হয়েছে
চেকপোস্ট। জেলা পুলিশের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জেলার পুলিশ সুপার
মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
কেউ যদি
পরিবহন চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি
নিশ্চিত করা হবে। যে কোন মুল্যে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে জেলা পুলিশ
বদ্ধপরিকর।
আসন্ন ঈদের সময় মহাসড়কের যানযট ও সড়ক
দূর্ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষ যাতে মুক্তি পায় সেজন্য জেলা পুলিশের তৎপরতা
আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment