একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রাম জেলাধীন কর্ণফুলী উপজেলায় ঠিকাদারি বিলের ফাইল না ছাড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অফিস ভাঙচুর ও হিসাব রক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে’।
রবিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের এলজিইডি অফিসে এ ঘটনা হয়।’
সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের উপজেলা প্রকৌশল অফিসের হিসাবরক্ষক মো. রফিকের কাছে গিয়ে গত অর্থ বছরের দুটি পিআইসি ফাইলের বিলে (ঠিকাদারি কাজ) স্বাক্ষর হয়েছে কিনা জানতে চান কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম’।
উত্তরে ফাইলে স্বাক্ষর হয়নি বলার পর ভাইস চেয়ারম্যান রুম থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পুনরায় কক্ষে গিয়ে ফাইলে স্বাক্ষর হয়নি কেন জানতে চান। তখন দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হলে এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হামলা চালান নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম।’
উপজেলা এলজিইডি অফিসের হিসাব রক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ঠিকাদারদের ১০ শতাংশ জামানত ফেরতের জন্য কয়েকটি ফাইল প্রক্রিয়াধীন ছিল। তার মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগমেরও একটি ফাইল রয়েছে’।
তিনি অফিসে এসে ফাইলটির খবর জানতে চান। আমি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে এলে ফাইল প্রসেসিং করে ছাড়া হবে বলে জানাই।’
এদিন উপজেলা প্রকৌশলীর শাশুড়ির অসুস্থতার কারণে তিনি অফিসে আসেননি। কিছুক্ষণ পরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার স্বামী মামুনসহ লোকজন নিয়ে অফিসে ঢুকে ফাইলটি কেন ছাড়া হয়নি এই বলে আমাকে মারধর ও অফিসের কম্পিউটার ভাঙচুর করেন’।
বিষয়টি কর্ণফুলী থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এরকম প্রায়ই হামলা করেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান। তবে আজকের ঘটনাটা বড়’।
কাজ না দেখে ফাইল ছাড়া সম্ভব না। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে বৃহস্পতিবার আমার কথা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ফাইলটি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। এরপরও আমার অনুপস্থিতিতে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটালেন।’
বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে অফিস ভাঙচুর ও হিসাব রক্ষককে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম জানান, আমার ফাইলে কেন স্বাক্ষর হয়নি জানতে চাইলে হিসাব রক্ষক রফিক কোন উত্তর না দিয়ে আমাকে উপেক্ষা করতে থাকেন’।
এক পর্যায়ে আমি উত্তেজিত হয়ে পড়লে তর্কাতর্কি হয় রফিকের সাথে। তবে আমি নাজেহাল করিনি তাকে।’
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment