মোঃ
জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহারে ১২ টি গ্রামের প্রায় হাজারো
গ্রামবাসী পানি বন্দী হয়ে আছে। পানি বৃদ্ধির সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন ও
খাদ্যের অভাব। শনিবার সকালে, সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার মুকসুদপুরের
পূর্বচর, মৌড়া ও ধুবলী, নারিশার পশ্চিমচর, মধুরচর, সুতারপাড়ার কাজীরচর,
বিলাশপুরের ফুলছরি ও হাজার বিঘা, কুসুমহাটি ইউনিয়নের কার্তিকপুর ও মৈনট,
নয়াবাড়ির বাহ্রাসহ পানি বন্দী হয়ে আছে প্রায় হাজারো মানুষ। পানি বৃদ্ধির
সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন ও খাদ্যের অভাব।
ফুলছড়ি এলাকার শেখ জব্বার জানায়,
করোনা ভাইরাসের কারনে যাত্রী না থাকায় রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতে
হিমশিম,তারপর আবার বন্যার কারনে রিক্সা চালানো বন্ধ।
সংসাসের ৬ সদস্য নিয়ে
দিন কাটে অর্ধঅনাহারে। নারিশা বাজার ব্যবসায়ী খালেক জানায়, পদ্মার পানি
বাজারের ভিতরে প্রবেশ করায়, কোন ক্রেতা এ পর্যন্ত না আসায়, দুদিন ধরে কোন
বিক্রি নেই। মেঘুলা এলাকার সম্পা রানী দাস বলে, পানি বন্দী হয়ে থাকা তেমন
কোন সমস্যা না, বড় সমস্যায় আছি ভাঙনের আতংকের।
কখন যেন পদ্মায় গ্রাস করে,
সেই আতংকে ছেলে মেয়ে নিয়ে রাতে ঘুমাতে পারিনা। এ ব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান
মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, করোনার মহামারিতে সংসদ সালমান এফ রহমান ব্যাপক
সহতায় দিয়েছেন। পানি বন্দীদের সহতায়ও এগিয়ে আসবে। এক, দু' দিনের মধ্যেই
আমরা ঐ এলাকা গুলো পরিদর্শনে যাব। খাদ্য ও বস্ত্র সহতা দিব।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment