নোয়াখালীর
কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ ও
যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, এতে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত
হয়েছেন।
গত
১ আগষ্ট শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী বাজারে এ
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত মিরাজ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম তারেককে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের
মধ্যে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোঁড়া হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক
উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা
যায়, চরএলাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রোহান মাহমুদ ফয়সলের
সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী তামিমের ফেসবুক মেসেঞ্জারে কমেন্ট নিয়ে আগে থেকে
মতদ্বৈততা ও পারস্পরিক বিরোধ চলে আসছিল। হঠাৎ তারা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ
করে এলাহী বাজারে আসতে বলেন। এতে দুজনের সাক্ষাতের পর রোহানের লোকজন
তামিমকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান রাজ্জাকের ছেলেসহ
ছাত্রলীগের সাবেক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল রোহান
ফয়সাল ও তার লোকজনকে ধাওয়া করে।
এদের
মধ্যে রোহান মাহমুদ ফয়সাল চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব
উদ্দিনের গ্রুপের ঘনিষ্ঠ এবং তামিম ইকবাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি
চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক গ্রুপের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
এরপর
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক এবং আ’লীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিনের লোকজনের
মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এদের
মধ্যে সাহাব উদ্দিনের ছেলে মিরাজ হোসেন (২৮) ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা
সাইফুল ইসলাম তারেককে (২৩) রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি
চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক দাবী করেন, আ’লীগ নেতা সাহাব উদ্দিনের লোকজনের
হামলায় তার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউনিয়ন আ’লীগ
সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার জানান, রাজ্জাক চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায়
তার নিজের ছেলে ইব্রাহীমসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ
বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের
নেতাদের কাছে উভয় পক্ষ পরষ্পর বিরোধী অভিযোগ দিলেও এ পর্যন্ত থানায়
কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক ও
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment