সবুজ সরকার, বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন
প্রমিকা। সামাজিকভাবে মীমাংসার নামে চলছে পায়তারা। সোমবার (৩ আগষ্ট) সকাল
থেকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কলাগাছি এলাকার প্রেমিক সুজন ইসলামের
বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
৫ দিন হলো প্রেমিকা অনশনে রয়েছেন। এ ঘটনায়
এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, প্রেমিক সুজনের বাড়ির লোকজনের দ্বারা মারধরের স্বীকার হয়েছেন প্রেমিকা। প্রেমিক সুজন কলাগাছি গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
এদিকে, প্রেমিক সুজনের বাড়ির লোকজনের দ্বারা মারধরের স্বীকার হয়েছেন প্রেমিকা। প্রেমিক সুজন কলাগাছি গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
ওই প্রেমিকা জানান, গত দেড় বছর আগে থেকেই সুজনের সঙ্গে আমার
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। সুজন
ঢাকার একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। সুজন জানাই ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে এসেছে।
আমাকে তার বাড়িতে আসতে বলে। এখানে আসতেই আমাকে হেনস্তা করেছে সুজনের
পরিবারের লোকজন। আমাকে দেখেই তারা সুজনকে কৌশলে বাড়ির বাইরে বের করে
দিয়েছে। আমার সাথে সুজনের বিয়ে মেনে না নিলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।
বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। বর্তমানে আমি ধুকুরিয়াবেড়া
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুসামার দায়িত্বে আছি।
পলাতক থাকায় এ নিয়ে প্রেমিক সুজনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ (আগষ্ট) সোমবার সকালে বিয়ের
দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা। এলাকার এমন ঘটনায় জানা জানি
হলে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলখোখ প্রমানিক, ধুকুরিয়াবেড়া
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশিদ শামীম ও ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুসামা প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবারদের সাথে
কথা বলে ৫ (আগষ্ট) বুধবার দুষ্ট মীমাংসার বসার জন্য দিন নির্ধারণ জন্য
দিন নির্ধারণ করেন।
কিন্তু প্রেমিক সজুনের পরিবার সুজনের উপস্থিত না
থাকার বিষয়টি গোপন করে মীমাংসা বসেন, সুষ্ট মীমাংসার লক্ষ্যে সালিশী
বৈঠকে কথা শুরু হওয়ার পর ছেলে আছে উপস্থিতের বিষয়টি জানতে চাইলে ছেলে
অভিবাবক (মামা) সাইদুল মাষ্টার বলেন ছেলে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো কিন্তু
অফিসের প্রয়োজনীয় কাজে ভোরেই ঢাকা চলে গেছে। পরে প্রেমিকের মামা সাইদুল
মাষ্টার দুই দিন সময় নেয় ৭ (আগষ্ট) শুক্রবার সকালে ছেলে সুজনকে নিয়ে
মীমাংসায় বসবেন বলে সালিশী বৈঠকে কথা দেন।
নাম প্রকাশ না করায় অনিচ্ছুক
এলাকার লোকজন জানান, আজ মীমাংসা দিন নির্ধারণ থাকলেও মাতুবারদের যোগসাযোশে
মীমাংসার করা হয়নি মীমাংসার নামে চলছে পায়তারা। প্রেমিকার পরিবারদের দাবি
বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক
আবুসামার সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ
করেননি।
এ বিষয়ে ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশিদ
শামীম বলেন, উভয় পরিবারের সাথে কথা বলে মীমাংসা করার জন্য দিন নির্ধারন করা
হয়ে ছিলো। কিন্তু ছেলে উপস্থিত না থাকায় মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি দেলখোশ প্রমানিক বলেন,
সামাজিক ভাবে মীমাংসার জন্য বসা হয়ে ছিলো কিন্তু ছেলে উপস্থিত না থাকায়
আমরা সুষ্ট মীমাংসা করতে পারি নাই। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসার পথে
রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment