ঢাকার দোহারে নারী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে
তিন সন্তানের পিতা শহীদ মাঝি (৪৭) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার
মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ঞপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষক শহীদ একই এলাকার
বাসিন্দা। ধর্ষকের পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশেরর মাধ্যমে ৯০ হাজার
টাকা অর্থদন্ড প্রদাণ করে। তবে ধর্ষিতা টাকা নয় স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি
করেন। ধর্ষিতার অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর
এলাকার এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের শহীদ মাঝি দীর্ঘদিন
ধর্ষণ করে।
এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত করানো হয়। গত
সোমবার সকাল ১১টায় পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের বাড়িতে ধর্ষণের
ঘটনার মীমাংসার জন্য সালিশ বসানো হলে সেখানে ধর্ষকারীর পক্ষে প্রভাবশালী
মজিবুর দেওয়ান, ইয়ানুস, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী মণ্ডল,
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাসার চোকদার, বিলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি হুকুম আলী চোকদার, সাবেক ছাত্রনেতা সুরুজ আলম সুরুজ, সাখাওয়াত
হোসেন সেন্টু, শওকত হোসেন খান, জহির বেপারি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার উপস্থিত থেকে ধর্ষককে ৯০ হাজার টাকা
অর্থদন্ড করেন।
ওই নারী টাকা নয় ধর্ষক শহীদের স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করেন।
পরে ওই অর্থ দিয়ে প্রভাবশালীরা মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর এলাকার
ফরহাদ মৃধার বাড়িতে ভূরিভোজ করেন।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার বলেন, আমরা ওই নারীর
পক্ষেই ছিলাম। ধর্ষিতা যেন সুষ্ঠু বিচার পায়, এ কারণে ধর্ষক শহীদকে
অর্থদন্ড করা হয়েছে।
দোহার থানা ওসি (তদন্ত) আরাফাত
হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিচার কোনো প্রভাবশালী করতে পারেন না। ধর্ষকসহ
সালিশকারীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment