শাহ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ:
বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, ও পেকুয়ায় চুনতি অভয়ারণ্যে এলাকায় বনদস্যুদের সিন্ডিকেট দিন দিন সরকারি বনভ‚মি পাহাড় কেটে মাঠি বিক্রি ও ছাড়া থেকে সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়া বালি উত্তোলন করে চুনতি অভয়ারণ্যে এলাকা থেকে দিন দিন বন্যপ্রাণীরা বিলপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
হাড়ে গভীর জঙ্গল কমে যাওয়ায় বন্য হাতিরা বিভিন্ন উপজেলায় লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভ‚মি দস্যু জাকের হোসেন ও মোশারফ সহ ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট পেকুয়া উপজেলার টইটাং ও বারবাকীয়া ইউনিয়নে মধুখালী ও বনাকানন এলাকায় ৪ (চার) টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করে।
প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাকে করে পাহাড় কেটে মাঠি বিক্রি করা হচ্ছে। আওমালীগ নামদারী এই সিন্ডিকেট সরকারের সুনাম নষ্ট করে নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এই ধরণের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ। দিনের পর দিন সরকারি গাছ কেটে, পাহাড় কেটে পরিবেশ ধংসের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরোদ্ধে।
এই ব্যাপারে বিটকর্মকর্তা জাবেদুল আব্বাস চৌধুরী জানান, আমাদের অফিসে আমি সহ মোট কর্মচারী আছি আর যেখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা আমাদের অফিস থেকে ৩-৪ কিঃ মিঃ দুরে।
তিনি আরো জানান, জাগের হোসেন ও মোশারক এর বিরোদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বনভ‚মি ধংসের অভিযোগে আট-দশ মামলা হলেও তারা রাজনৈতিক ছাত্রছায়ায় বিভিন্ন আইনির মারপেঁচে আদলত থেকে জামিনে এসে খুরুধমে বনভূমি ধংস করে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে বন রেঞ্জ অফিসার গফুর মোল্লা জানান, গত বছর এই সময়ে পাহাড় কাটার মাঠিসহ পেকুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাঈকা শাহাদাত একটি ট্রাক আটক করেছিল। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর তারা আবার পাহাড় কাটা শুরু করে। আমরা বন বিভাগের পক্ষ থেকে ঐ এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করলে আমরা যাওয়ার পর তারা আর পাহাড় কাটবে না বলে চলে আসে কিন্তু রাতের বেলায় পুনরায় পাহাড় কাটে। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত পাহাড় কাটা বন্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন যেন পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment