বন্যা
ছাড়াই যেন বন্যার পানি! ড্রেন না থাকায় ঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। এ ভাবেই
বর্ষাকালের ৩ মাস মহাদুর্ভোগে কাটাতে হবে অর্ধশত পরিবারের। এমন দৃশ্য
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বলিদাপাড়া গ্রামের। এই
গ্রামের ফায়ার সার্ভিস পাড়ায় অর্ধশত পরিবার বর্ষাকালের ৩ থেকে ৪ মাস পনির
মধ্যে বসবাস করেন।
বৃষ্টি শুরু হলেই পাড়ায় পানি জমতে শুরু করে। ড্রেন না
থাকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতা। আর যখনই বৃষ্টি, তখনই ওই পানি আরো
বেড়ে যায়। দেখা দেয় ভোগান্তি আর পোকা-মাকড়ের উৎপাত। রাতেও বিষাক্ত পোকা আর
সাপের ভয়ে ঘুম হয়না। স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়াতে প্রায়
৫০ টি পরিবার বসবাস করেন। বর্তমানে ওই পাড়ার মানুষ জলাবদ্ধ অবস্থায় বসবাস
করছেন।
সরেজমিনে ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় গোটা পাড়ার বাড়িঘরগুলোর চারপাশে
হাঁটু পানি। ঘরের মধ্যেও পানি। এ পাড়ার মানুষগুলোর যেন কষ্টের শেষ নেই।
বাইরে বেড় হলে অতিরিক্ত পোশাক নিয়ে বের হতে হয়। হাঁটু সমান পানি পার হতে
কাপড় উঠিয়ে পার হতে হচ্ছে।
বলিদাপাড়ার বাসিন্দা আক্তার হোসেন জানান, পৌরসভা
কর্তৃপক্ষ পাড়ার মধ্যে ইট বিছানো রাস্তা করেছেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই
রাস্তা থাকে পানির নিচে। তিনি বলেন, তাদের এই পাড়ায় যে অর্ধশত পরিবারের
বেশির ভাগ চাকরীজীবি অথবা ব্যবসায়।
প্রয়োজনের সকাল হলেই তাদের বাইরে যেতে
হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের ৩ থেকে ৪ মাস তারা থাকেন পানির মধ্যে। বিষয়টি
তারা স্থানীয় কাউন্সিলরের বলেছেন, তিনিও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোনো কাজ
হয়নি।
ওই পাড়ার বাসিন্দা মানিক মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম জানান, বেশি বৃষ্টি
হলে ঘরের মধ্যে পানি উঠে যায়। এখন তাদের বাড়ির উঠানে পানি। আছির উদ্দিনের
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, বন্যা ছাড়া ঘরের মধ্যে পানি ভাবতেও কষ্ট হয়।
এ
বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জানান, মহাসড়কের ধার
ঘেঁষে পৌরসভার ড্রেন দিয়ে পানি উত্তর দিকে চিত্রা নদীতে নেমে যেতো।
কিন্তুউত্তর দিকে নানা স্থাপনা গড়ে উঠায় পানি দক্ষিনে ধাবিত হচ্ছে। তিনি
বলেন, এখন ফায়ার সার্ভিস পাড়ায় প্রবেশমূখ থেকে ৫’শ মিটার ড্রেন নির্মান
করলে সমস্যার সমাধান হবে। এ বিষয়ে তিনি পৌরসভায় কথাবার্তা বলছেন, আশা করা
যায় দ্রæত সমাধান হবে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব
জানান, স্থানীয় ভাবে সমস্যাগুলো তাদের অবহিত না করা হলে সমস্যা থেকেই যায়। এ
বিষয়টি নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে
জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment