শাহ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ:
জলকদর খাল জালিয়াখালী বাজারের পশ্চিমাংশে নদী ভাঙ্গনের দৃশ্য-ছবি: একুশে মিডিয়া |
চট্টগ্রাম বাঁশখালী অভিশপ্ত এক গ্রামের নাম মনকিচর। এই এলাকার মানুষ অধিকাংশই মৎস্যজীবী। তারা সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। পাশাপাশি অন্যন্যা পেশার মানুষ সহ এই গ্রামে মানুষের বসবাস।
কৃষি, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি, শিক্ষক, সহ এই গ্রামে প্রায় ১০ (দশ) হাজার গ্রামে বসবাস করে থাকেন। এই গ্রামের অবস্থান হচ্ছে বাঁশখালী উপজেলার শীলক‚প ইউনিয়নের পশ্চিমাংশে অবস্থিত।
এই গ্রামের পাশে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর শাখা ঐহিত্যবাহী জলকদর খাল দীর্ঘদিন এই খালটির সংস্কার না করা ফলে বৃষ্টির পানি ও নদীর জোয়ারের পানি মিশ্রিত হয়ে এই এলাকাটি বছরের অধিকাংশ সময় মানুষের বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
এই এলাকায় জলকদর খাল থেকে ছোট ছোট খালের প্রশাখা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিস্তৃত থাকায় খুব সহজে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয় এই গ্রাম।
চলিত বর্ষামৌসমে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানি প্রবেশের ফলে এই গ্রামের জালিয়াখালী বাজারের পশ্চিম পাশে বেড়িবাধের বেশ কয়েকটি স্থানে ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হয়। এই গ্রামে প্রায় বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। কয়েকটি মাটির দেয়াল ভেঙ্গে পড়লেও ঝুকির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। এখানে অধিকাংশ বাড়িঘর কাঁচা মাঠির তৈরি।
দীর্ঘদিন মাঠির দেয়াল পানিতে নিমজ্জিত থাকার ফলে যেকোন মূহুর্তে দেয়াল ভেঙ্গে শিশু মহিলা সহ অসংখ্য মানুষ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। বেড়িবাধ ভাঙ্গণের ফলে শত শত মৎস্যজীবীর মৎস্য খামারের প্রায় কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকশলী প্রমশক চাকমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ওনার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন জানান, চলিত বর্ষায় আমার ইউনিয়নে মনকিচর গ্রামে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment