একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
একজনকে অপহরণের ৪ ঘন্টা পর উদ্ধার। অপরজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
|
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুই সাংবাদিক জীবন শংকায় ভুগছে। একজনকে অপহরণের ৪ ঘন্টা পর সাংবাদিকদের তৎপরতায় ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
অপরজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ওই দুইজন সাংবাদিক হলেন দৈনিক পূর্বদেশের স্টাফ রির্পোটার মো. ফারুক আব্দুল্লাহ ও একুশে পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি মো. বেলাল উদ্দিন।
ওই দুই ঘটনায় জানা গেছে, ফারুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ছাত্রলীগ কর্মী কালীপুরের মৃত মশিউর রহমানের পুত্র মোরশেদুর রহমান। অপহরণের উদ্ধারের পর বেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে চেয়ারম্যান বাহিনীর বহু মামলার আসামী ৫ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বলেন,‘ গত ৩ আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ছনুয়ায় মা ফাতেমা একাডেমী নামের সংগঠনের একটি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি যাবার সময় ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরীর পালিত সন্ত্রাসী বহু মামলার পলাতক আসামী আশেকুর রহমান, ছৈয়দ মোস্তফা, মিয়া হোসেন, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলামসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী আমাকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। ওইখানে বেধড়ক মারধর করে আমাকে আহত করে এবং খুন করার জন্য পরিকল্পনা করে। স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার জনৈক মন্ত্রীর সহযোগিতায় থানায় খবর পৌঁছালে থানা পুলিশ আমাকে আহত অবস্থায় রাত ১১ টায় চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজিসহ ১২ মামলার আসামী চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী এলাকায় নকল স্বর্ণ ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা এবং বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করেন। ছনুয়ায় অসংখ্য মানুষ চেয়ারম্যান বাহিনীর তান্ডবে অতীষ্ঠ। এ সংক্রান্ত কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করায় দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান বাহিনীর তোপের মুখে আমি জীবন শংকায় ভুগছিলাম। সর্বশেষ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী অপহরণ করে। আমি বাদি হয়ে মামলা করেছি।
ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘ আমার কোন লোক তাকে অপহরণ করেনি। আমি বেলালকে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের মাধ্যমে তাকে ঘরে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। বেলাল মিথ্যা কথা বলছে। আমার কোন লোক এলাকায় সন্ত্রাসী কাজ করে না। আমি সন্ত্রাসকে ঘৃণা করি। আমার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোও ষড়যন্ত্রমূলক।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বাদি মোরশেদুর রহমান বলেন,‘ সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে তার ফেসবুক আইডিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তাঁর সম্মান হানি করেছেন। তাঁর অনুসারি হিসেবে সহ্য করতে না পেরে মামলা দায়ের করেছি।’
সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন,‘ সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী ছৈয়দের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর দাফনের সময় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেয়ায় আমি আমার ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। এছাড়া আশরাফ আলী আমার বড় আব্বু। এর পর থেকে আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তারপরও আমি নানা হুমকি-ধমকিতে প্রাণশংকায় ভুগছি।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন,‘ দুই সাংবাদিকের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হয়েছে। পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ দুর্স্কম করে রেহায় পাবে না।
সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বলেন,‘ গত ৩ আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ছনুয়ায় মা ফাতেমা একাডেমী নামের সংগঠনের একটি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি যাবার সময় ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরীর পালিত সন্ত্রাসী বহু মামলার পলাতক আসামী আশেকুর রহমান, ছৈয়দ মোস্তফা, মিয়া হোসেন, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলামসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী আমাকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। ওইখানে বেধড়ক মারধর করে আমাকে আহত করে এবং খুন করার জন্য পরিকল্পনা করে। স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার জনৈক মন্ত্রীর সহযোগিতায় থানায় খবর পৌঁছালে থানা পুলিশ আমাকে আহত অবস্থায় রাত ১১ টায় চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজিসহ ১২ মামলার আসামী চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী এলাকায় নকল স্বর্ণ ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা এবং বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করেন। ছনুয়ায় অসংখ্য মানুষ চেয়ারম্যান বাহিনীর তান্ডবে অতীষ্ঠ। এ সংক্রান্ত কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করায় দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান বাহিনীর তোপের মুখে আমি জীবন শংকায় ভুগছিলাম। সর্বশেষ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী অপহরণ করে। আমি বাদি হয়ে মামলা করেছি।
ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘ আমার কোন লোক তাকে অপহরণ করেনি। আমি বেলালকে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের মাধ্যমে তাকে ঘরে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। বেলাল মিথ্যা কথা বলছে। আমার কোন লোক এলাকায় সন্ত্রাসী কাজ করে না। আমি সন্ত্রাসকে ঘৃণা করি। আমার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোও ষড়যন্ত্রমূলক।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বাদি মোরশেদুর রহমান বলেন,‘ সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে তার ফেসবুক আইডিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তাঁর সম্মান হানি করেছেন। তাঁর অনুসারি হিসেবে সহ্য করতে না পেরে মামলা দায়ের করেছি।’
সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন,‘ সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী ছৈয়দের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর দাফনের সময় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেয়ায় আমি আমার ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। এছাড়া আশরাফ আলী আমার বড় আব্বু। এর পর থেকে আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তারপরও আমি নানা হুমকি-ধমকিতে প্রাণশংকায় ভুগছি।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন,‘ দুই সাংবাদিকের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হয়েছে। পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ দুর্স্কম করে রেহায় পাবে না।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment