কুমিল্লা
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১জন কে
কুপিয়ে জখম স্বর্ন অলংকার সহ নগদ অর্থ লুটপাট এর অভিযোগ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী
পরিবার পক্ষ থেকে ৬ জন কে আসামি করে আদালতে মামলা।উপজেলার কালিকাপুর
ইউনিয়নের আবদুল্লাহ পুর গ্রামে গত বুধবার সকাল ৯ ঘটিকায় আনা মিয়া (৫০)
নামের এক ব্যাক্তির পরিবারের উপর পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী বাচ্চু মাষ্টার গং
দের হামলার ঘটনার সংবাদ জানা গেলো।
জানা যায় যে বৃষ্টির পানি পড়া কে কেন্দ্র
করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার সকালে পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী বাচ্চু
মাষ্টার গংরা দেশীয় অস্ত্র ছেনি লোহার রড নিয়ে এসে আনা মিয়ার পরিবার এর উপর
হামলা চালায়, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ধারালো ছেনির কোপে আনা মিয়ার স্ত্রী
শেফালী বেগম (৪৫)এর মাথায় মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম হয়।
ও আনা মিয়ার ছেলে
আল আমিন (১৯) লোহার রডের আঘাতে আহত হয়।উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার এর পক্ষ
থেকে আনা মিয়া (৫০) পিতা মৃত হরমুজ আলী বাদি হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড ৫নং আমলী আদালতে মোকদ্দমা-
১৪৩/১৪৯/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৩৪ দ্বারা দন্ডবিধি অনুযায়ী ৬
জন কে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন।
বিবাদীরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৪৫) পিতা
মৃত আক্রম আলী,রবিউল হোসেন (৩০)পিতা মৃত রৌশনআলী,এছাক মিয়া (৫০) পিতা মৃত
মমতাজ মিয়া,মনা মিয়া (২২) পিতা এছাক মিয়া, রানু বেগম (৩০) পিতা মৃত রৌশন
আলী, মামুন (৪০) পিতা এছাক মিয়া সর্ব সাং আবদুল্লাহ পুর।
বাদী পক্ষের
দায়েরকৃত মামলা সূত্রে ও বাদী আনা মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান যে আমার
প্রতিবেশী বাচ্চু মাষ্টার গং দের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সীমানার বিরোধ
এর জামেলা রয়েছে।
যার সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে বৃষ্টির পানি সীমানায় পড়ার
সূত্র ধরে আমার দায়েরকৃত মামলার বিবাদী গন দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র ছেনি
লোহার রড নিয়ে আমার বাড়ীতে ঢুকে ডুকে হামলা করে, এসময় আমার ছেলে আল আমিন(
১৯) কে এলোপাতাড়ি লোহার রড দিয়ে বাড়ী মারতে থাকে,ঘরে আমার স্ত্রী দৌড়ে
বাহিরে আসলে তাহার মাথায় দারালো চেনি দিয়ে কোপ মারিলে আমার স্ত্রী শেফালী
বেগম (৪৫) রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এসময় বিবাদী পক্ষ তাহার গলায়
চাপিয়া ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
তাৎক্ষণিক আমার ছেলের আর্ত
চিৎকারে প্রতিবেশী রা দৌড়ে আমার বাড়ীতে আসে এবং প্রতিবেশীর দেওয়া সংবাদে
আমিও বাড়ীতে এসে উপস্থিত হয়ে দেখি আমার ঘরের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে
আমার স্ত্রী পড়ে আছে।প্রতিবেশীর সহযোগিতায় স্ত্রী ও সন্তান কে চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই,এবং সেখানে চিকিৎসক আমার স্ত্রীর
মাথায় ৭ টি সেলাই প্রদান করে।বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
উক্ত
হামলা চলাকালীন সময়ে বিবাদী পক্ষ গন আমার স্ত্রীর গলায় থাকা একটি স্বর্নের
চেইন যাহার ওজন প্রায় ১ ভরি(আনুমানিক মূল্য ৫০.০০০টাকা) ও কানে থাকা
স্বর্নের রিং যাহার ওজন ৪ আনা(১৫০০০ টাকা মূল্য) এবং আমার ঘরে থাকা আলমারির
তালা ভেঙে আমার গরু বিক্রির নগদ ১ লক্ষ টাকা ও স্যামসাং A7 একটি মোবাইল
নিয়ে পালিয়ে যায়।
পবিত্র ঈদুল আজহার বন্ধ থাকায় আমার মামলা দায়ের করতে
বিলম্ব হয়েছে। আমি একজন অসহায় হিসেবে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবী
করছি।
বাদী পক্ষের দায়েরকৃত মামলার কপি ও বর্নিত ঘটনা সম্পর্কে জানতে আমাদের
প্রতিনিধি মুঠোফোনে আলাপ করে বিবাদী মাষ্টার বাচ্চু মিয়ার সাথে এসময় তিনি
বলেন ঘটনায় যা উল্লেখ করছে মূলত সত্যি নয়,আমি ঘটনার দিন বাড়ীতে ছিলামনা অথচ
আমার নামেও মামলা হয়েছে।
আমি এখন হাসপাতালে আমার মেয়েকে নিয়ে এই বিষয়ে পরে
কথা হবে বলে তিনি লাইন কেটে দেন।হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী
বাড়ীতে অবস্থান কালে বাদী আনা মিয়ার স্ত্রী আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমাজ কর্মীদের নিকট উক্ত হামলার সুষ্ঠু সমাধান কামনা
করেছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment