লকডাউন আর বন্যা আগমনের পর থেকে সারাদেশের
মত ঢাকার দোহারে রিক্সা চালকদের দিন কাটে খুব কষ্টে।
পরিবারের সদস্যদের
মুখে দু বেলা অন্য তুলে দিতে প্রতিদিন অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে। তবুও তাদের
বাকী থাকে মালিকের জমা খরচ।
উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের সাতভিটা এলাকার রিক্সা
চালক রমজান আলী বলেন, লকডাউনের পর থেকে যাত্রীর সংখ্যে কম আর রিক্সা
চালকের সংখ্যা বেশি। আগে যেখানে ত্রিশ টাকা ভাড়া দিত, এখন সেখানে যাত্রী
পৌছে দিচ্ছি বিশ টাকায়।
তবুও যাত্রী পাওয়া যায়না। যদিও দু একজন যাত্রী আসে,
চালকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিশ টাকার ভাড়া দশ টাকায় যেতে হয়।
দক্ষিণ
শিমুলিয়ার রিক্সা চালক আবুল কালাম বলেন, রিক্সার মালিককে জমা দিতে হয় ২০০,
সারাদিনে রোজগার ৫০০ টাকা। নিজের পকেট খরচ হয় দিনে ৫০ টাকা, আড়াইশত টাকা
দিয়ে কি আর পাঁচজনের সংসার চলে।
মেঘুলা এলাকার জব্বার জানায়, দুপুরে বাড়িতে
যাওয়া হয়না, বাড়িতে গেলেই বউ বলে তেল নাই, ডাল নাই ইত্যাদি।
এজন্য এ বেলা
দশ টাকা দিয়ে দুইটা শিঙ্গারা বা পুরী খেয়ে দিন শেষে রাতে বাড়ি যাই। তখন বউ
যদি ঐ সবের কথা বলে, বলি কাল নিয়ে আসবো।
রাসেল, খালেক ও রিপনসহ সকলের দাবি,
যদি সরকার একটু নজর দিত বা প্রতিমাসে রিক্সা চালকদের জন্য ত্রাণের
ব্যবস্থা করে, তাহলে কিছুটা হলেও আমাদের ভাগ্য বদল হত।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment