ঝিনাইদহে
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। শৈলকুপা উপজেলার
ত্রিবেনী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া কালী নদীর চড়ে শনিবার বিকালে এ
খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলার আয়োজন করে বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী
শিক্ষক নাজমুল ফিরোজ সাগর ও সার্বিক সহযোগিতা করে শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া যুব
সংঘ।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলা উপভোগ করতে আশে
পাশের এলাকা থেকে ছুটে আসে হাজারো উৎসুক জনতা। আর এই লাঠিখেলাকে কেন্দ্র
করে পুরো এলাকা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে।
চারদিকে
ঢাকঢোল আর কাসার ঘণ্টার বাজনা। বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালদের কসরত।
দর্শকদের আনাগোনায় মুখর হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। উৎসবের নগরীতে রূপ নেয়
শ্রীরামপুর গ্রাম। বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, শিশুরা উপস্থিত থেকে নিবিড় দৃষ্টিতে
উপভোগ করেন এই খেলা।
নানা রংয়ের পোশাকে সেজে দুপুরের
পর থেকেই খেলা শুরু করে লাঠিয়াল সর্দাররা। বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালরা
আক্রমণ করেন একে অন্যকে। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা আর
কৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মেতে ওঠেন তারা। চমৎকার এ আয়োজন ঘোরের রাজ্যে
নিয়ে যায় সমর্থকদের।
আধুনিক প্রযুক্তির দৌরাত্ম্যের
মাঝেও এমন আয়োজনে উচ্ছাসিত দর্শকরা। লাঠি খেলা দেখে খুবই আনন্দিত দর্শক।
তাই প্রতিনিয়ত এ ধরণের আয়োজন করার দাবি তাদের।
আয়োজক
নাজমুল ফিরোজ সাগর বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি হারিয়ে
যাওয়া খেলাধুলাকে ফিরিয়ে আনতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। লাঠিখেলা আমাদের
গ্রামীণ ঐতিহ্য, আর এই ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এ খেলার আয়োজন করেছি।
ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মদ আলী জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান
অতিথি ছিলেন ত্রিবেনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা।
বিশেষ
অতিথি ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামান
মাখন, ৭১ বাংলা টেলিভিশনের ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন,
সাংবাদিক এইচ এম ইমরান, ইউপি সদস্য আজাদুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য আবু
দুলাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
লাঠিখেলায় ১০টি
লাঠিয়াল দল অংশ নেয়। খেলা শেষে বিজয়ী, রানার্সআপ ও অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে
পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। খেলা সঞ্চালনা করেন কাচেরকোল ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহামুদ জুয়েল।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment