এইচ এম শহীদ:
ব্যস্ত
রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মায়ের মুখটা আকাশমুখী। মাকে দেখার জন্য ভিড় করেছে
অচেনা মানুষগুলো। তিন বছরের তন্বী তখনও বুঝে উঠতে পারছিল না, কী হয়েছে তার
মায়ের। নি’র্বাক দাঁড়িয়েছিল নি’ষ্প্রাণ দেহের হাত ধরে, আর ফ্যালফ্যালিয়ে
তাকাচ্ছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখপানে।
শিশুটি কী বুঝতে পেরেছে এ ধরাতে তার সবচেয়ে আপনজন আর নেই? চলে গেছেন চিরতরে পরপারে? না বুঝলেই বা কী হবে — এখন?
শনিবার
(২৪ অক্টোবর) বিকেলে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের শুঁটকি ব্রিজের কাছে জোনাকী
আক্তার (২২) নামে এক নারীর ম’রদে’হ উ’দ্ধার করে পুলিশ। তখন তিন বছর বয়সী
মেয়ে তন্বী পড়ে থাকা মায়ের হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল। এরপর পুলিশ ম’রদে’হটি
ম’য়নাত”দন্তের জন্য হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে
পাঠায়। একইসঙ্গে মেয়েটিকেও নিয়ে যায় থানায়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন জানিয়েছেন, ছোট্ট শিশু তন্বী কথা বলতে
পারছিল না। মায়ের ম’রদে’হের পাশেই দাঁড়িয়েছিল। তিনি নিজের গাড়িতে করেই
মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে একটি আপেল খেতে দেন। খবর পেয়ে তন্বীর নানী
থানায় আসেন। এখন সে নানীর সঙ্গেই রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গৃহবধূ জোনাকী
বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরীপাড়ার অপু মিয়ার স্ত্রী ও আবু মিয়ার মেয়ে। তিনি
দুই সন্তানের মা। প্রায় এক মাস আগে তন্বীকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী এবং অপর
সন্তানকে ফেলে অনিক নামে এক ছেলের সঙ্গে নেত্রকোনা চলে যান।
শনিবার অনিক
হবিগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে জোনাকীর ম’রদে’হ নিয়ে বানিয়াচং
যাচ্ছিলেন। পথে শুঁটকি ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশা থামালে স্থানীয়রা গাড়িতে
ম’রদে’হ দেখে তাকে তা’ড়া করেন।
তিনি হাওর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে
এলাকার লোকজন তাকে আ’টক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে থা’না হে’ফাজতে
নেয়। তিনি বানিয়াচং উপজেলার কাষ্টগর গ্রামের নিহাল পা’ণ্ডের ছেলে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment