“শিক্ষকঃ
সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যতের ভাবনা” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে
যথাযোগ্য মর্যাদায় ঝিনাইদহে পালিত হলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস। গতকাল সোমবার
সকাল ১১ টায় জেলা স্কাউট ভবনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার
উদ্যোগে এ দিবসটি পালন করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি মুহঃ আব্দুল
মমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ
সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান,
যুগ্ম সম্পাদক আলী কদর, আলমগীর হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক কৃপা সিন্ধু
বিশ্বাস, শিক্ষক নেতা কাজী জুলফিক্কার আলম,শাহানাজ পারভীন, আলী আকবর,
প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, আব্দূল গনি শেখ, সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক
রেজাউল করিম, সদরের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায়
প্রধান অতিথি বলেন সারা বিশ্বে আজ ১০০ টি দেশে শিক্ষক দিবস পালিত হচ্ছে
কিন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে সরকারী ভাবে এই দিবসটি পালিত হয় না। নানা
সমস্যা থাকা সত্ত্বেও জ্ঞান বিতরণের মহান পেশায় নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন
এই শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে বেতন বৈষম্য, যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন
কাঠামো নেই, সে কারনে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চায় না।
বক্তারা
আরও বলেন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শিক্ষকদের উচ্চতর বেতন প্রদান করা
হয়। কিন্ত আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন দেশের ৯৭% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও
শিক্ষক আজ অবহেলিত। শিক্ষা খাতে বাজেট অপর্যাপ্ত, বৈষম্য নিরসন করে
শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যাতে মেধাবিরা শিক্ষকতা পেশায়
আসতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার
মধ্যেও জাতির জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় করন
করেন। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা ছিল পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা জাতীয় করন
করা। দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যুতে জাতির ভাগ্যাকাশে কালো মেঘ নেমে
আসে । আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন চাই, চাই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়
করণ।
No comments:
Post a Comment