একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী প্রতিনিধি:
বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকায় একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সাংবাদিক পরিবারকে শত বছরের বসতভিটি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ওই এলাকার মরহুম মুন্সি মকবুল আলীর কনিষ্ট পুত্র বড়ঘোনা সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী ও চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার মাশরুম শাকিলের পিতা জাকের আহমদকে তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত শতবছরের বসতভিটি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালায় তার ভ্রাতুষ্পুত্র কামরুল ইসলাম ও মুজিবুল আলম গংরা।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী জাকের আহমদ বিজ্ঞ বাঁশখালী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কামরুল ইসলাম ও মুজিবুল আলম গংদের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-১৭/২০) দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলাটি সম্পূর্ণ গোপন রেখে প্রতিপক্ষের কামরুল ইসলাম ও মুজিবুল আলম গংরা উল্টো জাকের আহমদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম-এ অপর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যাহার মিচ মামলা নং-১০৬৯/২০।
এদিকে প্রতিপক্ষের কামরুল ইসলাম ও মুজিবুল আলম গংরা সুকৌশলে বিজ্ঞ আদালতের সাথে প্রতারণা করে এরূপ মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বিজ্ঞ আদালত এই মামলার সুষ্ঠ বিচারকার্য্যওে বিভ্রান্তিতে পড়ার আশংকা করছেন ভুক্তভোগী জাকের আহমদের পরিবারের সদস্যরা।
হয়রানির শিকার জাকের আহমদ বলেন, আমার পিতা মরহুম মুন্সি মকবুল আলীর সন্তান হিসেবে একমাত্র ওয়ারিশ রয়েছি আমি। সেই হিসেবে পৈত্রিক বসতভিটায় বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছি।
এরই মধ্যে আমার বসতঘরটি পাকা করার জন্য কাজ শুরু করলে তাতে বাঁধা প্রদান করে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র কামরুল ইসলাম ও মুজিবুল আলম গংরা। সম্প্রতি জায়গা জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আমার জায়গার ওপর কুনজর পোষন করে একাধিক মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে আমাকে আমার পৈত্রিক বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মারারও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। জানা যায়, ভুক্তভোগী জাকের আহমদের পুত্র মাশরুম শাকিল বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের একজন সিনিয়র রিপোর্টার। বার বার মিথ্যা মামলা দিকে একজন সাংবাদিক পরিবারকে এরূপভাবে নাজেহাল করায় স্থানীয়দের মাঝেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment