রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:
সরকারী
চাকরিতে বঞ্চনা, অবহেলা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য
পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ দেশব্যাপী
কর্ম বিরতি শুরু করেছে। ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে দাবী
আদায় না হওয়া পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে স্বাস্থ্যকর্মীরা
দিনব্যাপী কর্ম বিরতিতে অংশ নেয়। এতে ইপিআই টিকাদানসহ সকল স্বাস্থ্যসেবা
বন্ধ হয়ে যায়। সরকারী চাকরিতে বঞ্চনা, অবহেলা ও বৈষম্যে নিরসনের দাবীতে
বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন এই কর্মসূচী ঘোষণা করে। সংগঠনের নেতা
ফারুক হোসেন সহ কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনে
অংশগ্রহনকারীরা বলেন, চাকরীর শুরু থেকে অবহেলিত, বঞ্চিত ও চরম বৈষম্যের
শিকার হচ্ছি আমরা। অথচ টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশ্বের যে রোল মডেল তা
আমাদেরই কারণে। শুধু টিকাদানে সাফল্য নয় আমরা অর্জন করেছি মাতৃ মৃত্যু ও
শিশু মৃত্যুর হার কমানো, পোলিও, গুটি বসন্ত, হেপাটাইটিস মুক্ত বাংলাদেশ,
যক্ষা নিয়ন্ত্রণ, হাম-রুবেলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ স্বীকৃতি, নিউমোনিয়া,
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, ধনুষ্টংকার মুক্ত বাংলাদেশের পুরস্কার অর্জন।
মহামারী করোনা কালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, মাঠ
পর্যায়ে প্রথম থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, জনগণকে সচেতন করা,
আক্রান্ত ব্যক্তির স্¦াস্থ্য শিক্ষা, ঔষধ পৌছানো, হাসপাতালে নেয়ার কাজটি
স্বাস্থ্য কর্মীরাই করে আসছে। এমডিজি-৪ অর্জন, সাউথ সাউথ পুরস্কার, দক্ষিণ
এশিয়ায় টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম স্থান অর্জন, হাম-রুবেলা নিয়ন্ত্রণে
বাংলাদেশের অগ্রগতি পুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গ্যাভি মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ উপাধি দিয়েছে। তথাপিও আমাদের বেতন বৈষম্য ও
বঞ্চনার নিরসন আজো হয়নি। প্রধান মন্ত্রী ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বেতন
বৈষম্যের ঘোষনা দেন, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী দাবী
মেনে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। গত ২০/০২/২০২০ ইং তারিখে
হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে মাননীয় মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচীব দাবী
মেনে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সেই লিখিত সিদ্ধান্ত সমূহ
আজও বাস্তবায়ন হয়নি বলে আন্দোলনরতরা অভিযোগ করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment