ছৈয়দুল আলম:
দীর্ঘ দিন ধরে গডে উঠা অবৈধ ব্রিকফিল্ড আজ চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে ১০ জানুয়ারি ২০২০ সোমরার সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে মোট চারটি অবৈধ ইট ভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে তিনটি ছিদ্র করে সর্তক করা হয়ে। চৌধুরী ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটার চুলা সহ নষ্ট করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। সেই সাথে চৌধুরী ব্রিকসের অবৈধ ইট ভাটার কাঁচা ইট গুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয়নি।
ইট ভাটা গুলো হলো, (১) জয়নাল আবেদনি জন্টুর মালিকানাধীন মেসার্স এম বি এম ব্রিকস, (২) জামাল আহমেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন মেসার্স এম বি এম 2 ব্রিকস, (৩) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ছোটনের মালিকানাধীন খাজা আজমীর ব্রিকস, (৪) মতুর্জা আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন চৌধুরী ব্রিকস, বাকি তিনটি ইট ভাটায় ৫০ হাজার করে কাঁচা ইট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উক্ত অভিয়ানে ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নুর হোসেন, বন্দন বিশ্বাস, ,র্যাব ৭ এর ডি এ ডি খালিদুর রহমান সহ ফায়ার সার্ভিসের একটু দল, বাঁশখালী থানা পুলিশ ও বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি উজ্জল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ এরশাদ।
বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ইটভাটা গুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া দেখে আসলে আমি খুবই মুগ্ধ হলাম। সেই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তর কে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটা একসাথে গুটিয়ে দেওয়া। ক্ষমতার জোর দেখিয়ে যেন কোন ব্যক্তি রেহাই না পায়।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এর আওতায় এখানে আমরা র্যাব পুলিশ ফায়ার সার্ভিস মিলে অবৈধ ইট ভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হলো সেই সাথে যে ইট ভাটা গুলোর কাগজ পত্র আছে সে গুলোকে আমরা সুয়োগ করে দিচ্ছি।
এই অভিয়ান চলমান থাকবে। হয়ত একদিনে সব ইট ভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সাথে এটা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ইট ভাটায় অভিয়ান পরিচালনা করতেছি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment