লালমনিরহাটের
হাতীবান্ধা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলায় ভাতিজার আঘাতে মাথা
ফাটল চাচি লাভলী বেগম (৪৫) ও মিজানুর রহমান (২৭) নামে এক যুবকসহ একই
পরিবারের আরো ১ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার
অভিযোগ উঠেছে ।
এ ঘটনায় হামলার শিকার মিজানুর
রহমান বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে তাহাজ্জুদ (৩৫),
তামজিদ (২৬), তৌহিদ (৩০), মেয়ে নাজমুন নাহার স্বপ্না (৩৪), সেলিনা, (৩৯)
স্ত্রী মনোয়ার বেগম (৬৩) কে আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ
দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,
উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই এলাকার মৃত জাকারিয়া হোসেনের
ছেলে মিজানুর গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় এক আমিন
(সার্ভেয়ার)কে সাথে নিয়ে তার বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বের নিজ ভোগদখলিয় জমি
মাপতে যান। এ সময় অভিযুক্ত
তাহাজ্জুদ ও তার ভাই মিলে
মিজানুরকে জমি মাপতে বাঁধা প্রদান করে। মিজানুর তাদের কথায় রাজি না হয়ে
জমি মাপতে চাইলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাহাজ্জুদের
হুকুমে তার ছোট ভাই তামজিদ ও তৌহিদ মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিজানুরের ওপর
হামলা চালায়। এ সময় মিজানুরকে বাঁচাতে গেলে তার মা ও স্ত্রীকেও পিটিয়ে
গুরুত্বর আহত হয়। এবং হামলার সময় মিজানুরের স্ত্রী'র কানের প্রায় ৩৫ হাজার
টকার স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় এতে গুরুত্বর রক্তাক্ত হয়। পরে স্থানীয়রা
তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করান।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার সাথে
তাদের পূর্বের কিছু জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তারই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে
ধারালো দা ও ছোড়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদের জখম করে। তারা আমার জমি
জোর করে দখল করতে চায়। জামি ছেড়ে না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে
তারা। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত তাহাজ্জুদ ইসলাম এর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা করা হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment