একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৭ নং সরল ইউনিয়ন এর মিনজির তলা গ্রামের মুক্তিযুদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ছায়েদুল আলম সিকদার (৭০) এর জায়গা জবর দখলে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে এলাকাবাসী ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধা ৭ টার সময় মিনজির তলা গ্রামের ২/৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বাজারের সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসীর ব্যানারে এলাকার গণ্যমান্য ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এলাকার লোকজন তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধার উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,গত ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে মমতাজ বেগম হ্যাপী নামক এক মহিলা ও তার স্বামী নজরুল ইসলাম,মাওলানা আবদুল্লাহ সহ স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধা ছায়েদুল আলম (৭০) এর জায়গা দখল ও বাড়ীর পুকুর থেকে জাল ফেলে মাছ লুট করে নিয়ে যায়।তাতে বাঁধা দিলে মুক্তিযুদ্ধা তার ষাটোর্ধ স্ত্রী তাকওয়া বেগম এর উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।এতে মুক্তিযুদ্ধা ও তার স্ত্রী সহ আহত হয়।
এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে মেরো ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এলাকাবাসীরা আরো বলোন,সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধা পরিবার ও এলাকার লোকজন কে মোবাইলে ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধা পরিবার ও এলাকাবাসীরা আতংকে আছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধা ছায়েদুল আলম সিকদার বলেন, মমতাজ বেগম হ্যাপী নামক মেয়েটি সাবেক জব্বর চেয়ারম্যান এর ভাতিজি। তার বাপ নিজের বসত ভিটা বিক্রি করে এলাকা থেকে খুলনা চলে গিয়েছিল। তারা এখনো খুলনায় বসবাস করে।জব্বর চেয়ারম্যান এর ওয়ারিশ হিসেবে জায়গা-জমির হিসাব-নিকাশ থাকতে পারে। তবে হঠাৎ করে মেয়েটি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার জায়গা জবর দখল ও বাড়ীর পুকুরে জাল ফেলে মাছ লুট করে নিয়ে যাবে কেন?
আমার দখলে যদি তার পৈত্রিক কোন জায়গা থেকে থাকে তাহলে আইনীভাবে আসবে। জবর দখল, লুটতরাজ ও হামলা করবে কেন? আমি একজন মুক্তিযুদ্ধা মুক্তিযুদ্ধার প্রশিক্ষক ছিলাম।এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা। (মুজিব বার্তা-লাল নং ০২০২০৫১৩৩) গেজেট নং ৪২১৯, সেনা নং ৩৯৪১৯৮৪ ( কর্পোলাল)।
আমার পরিচয় জানা থাকা সত্বেও হ্যাপী নামক মেয়েটি তার স্বামী নজরুল ইসলাম ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার জায়গা জবর দখলে ও পুকুর থেকে জাল ফেলে মাছ লুটতরাজ ও আমার বসত ভিটায় ঢুকে মুক্তিযুদ্ধের নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে আমাদের হামলা করে এবং এলাকাবাসীরা এগিয়ে গেলে যারা বাঁধা দিবে তাদেরকে সহ খুনের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ নিয়ো গেলে থানায় অভিযোগ নেয়নি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একখানা অভিযোগ প্রদান করি। দ্রুত কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না পেলে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে সি আর মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং ১০২/২১, মামলায় ১১ জনকে আসামি করি। এরপরেও সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি স্থানীয় প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি কামনা করছি।
এ ঘটনায় বাঁশখালী মুক্তিযুদ্ধারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তি কামনা করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম হ্যাপীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন,মুক্তিযুদ্ধা ছায়েদুল আলম এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা প্রশাসন কে নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment