একুশে মিডিয়া,
স্টাফ রিপোর্টার:
ড.আবদুল করিম। উপমহাদেশের খ্যাতনামা প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, প্রথিতযশা গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম সভাপতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইমেরেটাস প্রফেসর।
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত এই ইতিহাসবিদ ১৯২৮ সালের ১ জুন আমাদের বাঁশখালী উপজেলার চাপাছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রফেসর আবদুল করিম বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় মোট ২৭টি বই লিখেন এবং প্রায় ১৫০টি প্রবদ্ধ প্রকাশ করেন।
উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে (১) Social History of the Muslims in Bengal (1959) (2) Corpous of the Muslims Coins of Bengal (1960) (3) Murshidquli Khan and His Times (1963) (4) Dacca The Mughal Capital (1964) (৫) ঢাকাই মসলিন (১৯৬৫) (৬) ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন (৭) চট্টগ্রামের ইতিহাস (১৯৬৯) (৮) বাংলাদেশের ইতিহাস: সুলতানী আমল (১৯৭৭) (৯) চট্টগ্রামে ইসলাম (১০) হযরত শাহ আমানত (১১) বাংলার সুফী সমাজ (১২) মোল্লা মিসকিন শাহ (১৩) বাংলাদেশের ইতিহাস: মোঘল আমল (১৪) মুসলিম বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য (১৫) বাংলা সাহিত্যের কালক্রম (মধ্যযুগ), (১৬) আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ (১৭) আবদুল হক চৌধুরী ও তাঁর গবেষণা কর্ম (১৮) বাঁশখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য (১৯) নসরুল্লাহ খোন্দকার রচিত শরীয়তনামা সম্পাদিত গ্রন্থ (১৯৭৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (২০) Catalogue of the Coins of Bangladesh in the Chittagong University Museum একটি সংগ্রহ উদ্যোগ: বাঁশখালীর গর্বিত সন্তান হিসেবে আমরা ড. আবদুল করিমের রচিত বই সমূহ সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপকূলের বাতিঘর খ্যাত ছনুয়া উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরি। লাইব্রেরির সভাপতি সাঈফী আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছেন, ড. আবদুল করিম হচ্ছে উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ।
তিনি বাঁশখালীর গর্বিত সন্তান। প্রখ্যাত এই ইতিহাসবিদের বইগুলো সংগ্রহ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, এই দায়িত্ববোধ থেকে আমরা বইগুলো সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে বর্তমানে ড. আবদুল করিমের রচিত অনেক বই লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়না।অনেক বই ফটোকপিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাঠকের চাহিদার তুলনায় মুদ্রণ সংখ্যা কম বলে বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। এই ব্যাপারে উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ ড. আবদুল করিম রচিত বইগুলো পেতে সবাইকে তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। প্রয়োজনে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দেয়া নিচের নাম্বারে ফোন করেও তথ্য দেয়া যাবে ০১৮২০৫০০৬২২।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment