বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের রামদাশ মুন্সির হাটে অবস্থিত ‘বাঁশখালী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল লিঃ’ প্রাইভেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ, নার্স-আয়াদের দিয়ে ডেলিভারির কাজ করানো হয়েছে। প্রসূতির পেট থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া এই হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে বাঁশখালী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনায় তাদের কার্যক্রম চালানোর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর গ্রামের মোহাম্মদ মহিউদ্দীনের স্ত্রী নিলু আক্তারবে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী)‘বাঁশখালী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে সন্ত্রান প্রসাবের ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন। তখন হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ছাড়া, গাইনী বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার ছিলেন না।
চিকিৎসাকালীন
সময়ে কর্মরত ডাক্তার ছিলেন এই হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সৌরভ
চৌধুরী, নবজাতকের মৃত্যুর
পর প্রসৃতি, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফেরসৌসী বেগম নবজাতকের মা নিলু আক্তারের চিকিৎসা দেন।
এ অবস্থায় কথিত নার্স জেয়াছমিন আক্তার ও রিনা আক্তারকে দিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় তারা বাচ্চা প্রসব করানোর জন্য টানাহেঁচড়া শুরু করে। এতে বাচ্চার গলা কেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে প্রসূতি নিলু আক্তারের শাশুড়ী কাছ থেকে হাসপাতাল নির্ধারিত কাগজে স্বাক্ষর করে নিন। এ অবস্থায় নার্স ও আয়ারা পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোগীর এক স্বজন বলেন, ‘এই হাসপাতালে নার্স ও আয়া দিয়ে ডেলিভারি করিয়ে নিলু আক্তারের বাচ্চাকে মেরে ফেলা হয়েছে। নিলু আক্তারের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকার জোড়রে ধামাচাপা দিয়েছে এমন ঘটনা আরো অনেক ঘটছে । তিনি দোষীদের বিচার দাবি করেন। এর আগেও ওই হাসপাতালে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এবং সরকারী বিভিন্ন মহলে অভিযোগও হয়েছে স্থানীয়রা জানান।
হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসের মৃদু হাসি দিয়ে এই ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমরা বাচ্চা প্রসব করানোর পরে দেখি বাচ্চা মৃত। তবে আমাদের এখানে কিছু করার নাই সব আল্লাহর হুকুমে হয়ে থাকে। তবে ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে সার্ভিস দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
No comments:
Post a Comment