এইচ এম শহীদ পেকুয়া থেকে :
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্যেও কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে করাতকল। বিভিন্ন সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কেটে এনে এই করাতকলগুলােতে বিক্রি করছে চোরাকারবারিরা। নিয়মিত কাঠ আসছে এবং তা ফাড়াই করছে করাতকল গুলোতে।বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও কর্মকর্তাদের চোখের আড়ালে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীর সাথে যোগাসনে বনের কাঠ দিয়ে জমে উঠেছে করাতকলের মালিকদের কাঠের ব্যবসা। সব কিছু মিলিয়ে বনভূমি উজাড় হওয়ার পেছনে এটাও একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, করাতকল চালানাের জন্য সরকারের বনবিভাগ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ করাতকল মালিক তা মানছে না।
উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক করাতকল রয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ অবৈধভাবে চলছে লাইসেন্স বিহীন।
বন বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে, উপজেলায় শতাধিক করাতকলের মধ্যে বৈধ করাতকলের সংখ্যা খুবই কম।
উপজেলার পেকুয়া, বারবাকিয়া , শিলখালী , টইটং, রাজাখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় করাতকল অবৈধভাবে চলছে।
এর বাইরেও প্রতিটি ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকল রয়েছে আরও বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উপজেলার বারবাকিয়া,টইটং, শিলখালী এলাকার সংরক্ষিত বনের এক–দুই কিলােমিটারের মধ্যে বেশ কয়েকটি করাতকল অবৈধভাবে গড়ে উঠছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক করাতকল মালিক বলেন, সরকারের বিধিমালার ভেতরে থেকে আমরা ব্যবসা করতে চাই। তবে আমাদের করাতকলের পাশে বন থাকায় আমরা লাইসেন্স পাচ্ছি না। বন কর্মকর্তা- এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
পেকুয়া উপজেলা সহ পাশ্ববর্তী উপজেলা- বাঁশখালী ও চকরিয়ায় বেশিরভাগ করাতকল সরকারের বিধিমালা না মেনেই গড়ে উঠেছে। সরকারি বিধিমালা মানছেননা করাতকল মালিকরা। ।
যেসব করাতকলে বনের কাঠ কাটছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছে সচেতন নাগরিকরা।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment