লেখক-কবি শ্রীমতি ডলি
২১.০৩.২০২১
উঠোনের এক কোণায় কুমড়ো ডাঁটার
লতানে দেহ দেয়াল বেয়ে ঘরের চালে,
হলুদ রঙের কুমড়ো ফুলের মেলা .....
কয়েকটা কুমড়ো বেশ ডাগর ডাগর
শরীর নিয়ে তাকিয়ে আছে!
জানলার বাইরে ক্রমশই নুয়ে আসে
গ্রীষ্মের বিকেল, একসময় শ্রেষ্ঠত্বের
রণপায়ে হাঁটা মানুষটা একাকী,
কবিতার সোনালী দিনগুলোয় -
টিনের চালের নীচে বসতো চাঁদের হাট।
সম্বর্ধনা পুরস্কারে ভরে যেত ঘরের চারদেয়াল,
স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও ভিড় জমাত ...
চেয়ে নিয়ে যেত সদ্য প্রকাশিত কবিতার বই!
বিগত উচ্ছল যৌবন -
প্রৌঢ়ত্বের কাছে থেমে আছে ,
প্রেম হীনতায় বাঁচা জীবন -
চিরসঙ্গিনী প্রেমিকার দু'চোখে শূন্যতা ...
মূক ও বধিরের মতো লুটিয়ে এক কোণায়,
উঠোন ডিঙিয়ে কেউ আর আসে না -
মাঝে মাঝে পাশের বাড়ির - বিল্টু
কেটে নিয়ে যায় দু'একটা কুমড়ো।
উৎকৃষ্ট শব্দগুলো ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে...
কবিতার খাতার উপর জমছে ধুলো!
অনাদর অভাবে জীবন জর্জরিত,
হঠাৎ এক 'বর্ষণমুখর বিকেল' -
দুহাত ভরে আশীর্বাদ বয়ে আনলো,
স্কুল ফেরত কিশোর কিশোরীরা আশ্রয় নিল -
কবির বাড়ির টিনের চালের তলায়,
ওদের নিষ্পাপ মুখগুলোয় লেখা ছিল -
অনেক অজানা শব্দ,
ঘন আঁধারে ওরা যেন...
এক একটা 'জোনাকি' হয়ে -
কবির চেতনায় ধরা দিল!
ধুলো সরিয়ে রচিত হ'ল মহাকাব্য,
আবারও টিনের চালের তলায় -
এলো পুরস্কার ; বসলো 'চাঁদের হাট' !
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment