সবুজ সরকার, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ
বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা ছাড়া মিলছেনা সেবা। চিকিৎসা কার্যে অবহেলা, অর্থ আদায়, রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মরিয়ম আক্তারের বিরুদ্ধে। ১ হাজার টাকা হাতে নেওয়ার পর মিলেছে চিকিৎসা।
জানা গেছে, মরিয়ম আক্তার ও কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী মিলে চিকিৎসার নামে সাধারন অসহায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। যারা টাকা পয়সা দেয় তাদের চিকিৎসা আছে। যারা টাকা পয়সা দেয় না, তাদের নানা অজুহাতে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেই। মরিয়ম আক্তার ১৩ বছর যাবত এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। পাশ্ববর্তী এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অর্থ আদায় করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় রোগী বানিজ্য করে প্যাথলজি ক্লিনিক থেকে পিসি নিছেন মরিয়ম আক্তার।
উপজেলার পৌর এলাকার চন্দনগাঁতী গ্রামের আনন্দ শীল এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে আমার মেয়ে হাত ভেঙ্গে যায়। চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমাজেন্সিতে নিয়ে আসি। রাতে দায়িত্বরত কর্মরত মেডিকেল অফিসার প্রথমে এক্সরে করাতে বললে। আমি মেয়েকে নিয়ে বাইরে থেকে এক্স রে করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসি। তারপর মরিয়ম আপা বলে প্লাস্টার করাতে হবে তাতে এখন কোন ডাক্তার নেই ডাক্তার ডেকে এনে করাতে হবে ১ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান। ভুক্তভোগী আরো বলেন, টাকা কিছু কম নেওয়ার যাবে কি না এই বলা মাত্রই ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ ভর্তি করান। এখানে চিকিৎসা নিতে হলে ১ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে হাতে ১ হাজার টাকা দেওয়ার পর চিকিৎসা শুরু করেন মরিয়ম আক্তার। আমরা গরীব মানুষ সরকার আমাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতলে করে দিয়েছে আর এখানে এসে টাকা দিয়ে চিকিৎসা করা লাগচ্ছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃএকে এম মোফাখখারুল ইসলামের কাছে প্রতিবেদক অর্থ আদায় ছাড়া কেনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত রাতে অর্থোপেডিক ডাক্তার থাকে না তাকে ডেকে এনে করাতে হবে। আর কিছু মেডিসিন লাগবে এই জন্য কিছু টাকা চেয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment