সবুজ সরকার, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
ছবি: একুশে মিডিয়া |
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না নিয়ে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে বছরের পর বছর অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন সেবাকে ব্যানার বানিয়ে তাদের ব্যবসায়।
এমনকি এদের নেই দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স। নিয়মানুসারে যে কোন প্রাইভেট ক্লিনিক বা হসপিটাল পরিচালনা করতে গেলে এমবিবিএস ডিগ্রীধারী চিকিৎসক সব সময় থাকার কথা থাকলে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু মাত্র তাদের প্রাচারনার জন্য বিভিন্ন ফেষ্টন, লিপলেট অথবা ব্যানারে দু এক জন ডাক্তারের নাম দেখা গেলেও বাস্তবে তাদের কোন দেখা পাওয়া যায় না। আইনের ফাঁক পুরন করতেই এ যেন এক ধরণের কায়দা অবলম্বন মাত্র। দক্ষ চিকিৎসক থাকা তো দূরের কথা এমনও অভিযোগ রয়েছে, কোন রোগী আসলেই নানা অযুহাতের ছলে দু এক জন অদক্ষ নার্স দিয়ে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সচল রাখেন। তারপর শুরু হয় অভিনব কায়দায় চিকিৎসক ভাড়া করার প্রক্রিয়া। এদের নেই কোন সু- দক্ষ রোগ নির্ণয়কারী আল্ট্রা সোনোগ্রাম, এক্স- রে, ইসিজি যন্ত্রপাতি ও টেকনোলজিস্ট। এখানেও টেস্টের নামে চলে ভাঁওতাবাজির ব্যবসায়।
এসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের কথা বলতে গেলে বলাই বাহুল্য। ময়লা - আবর্জনা, দূগন্ধ যেন প্রতিদিনের সঙ্গী। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকায় অনেক সময় রোগী দেখতে আসা রোগীদের স্বজনরা দূর্গন্ধ ও ঝড়াজীর্ণ পরিবেশে অনেক সময় বমি করে নিজেরাই রোগীতে পরিনিত হয়।
এক অনুসন্ধানের সুত্রে জানা গেছে, বেলকুচি উপজেলা সদরেই নামে ও বেনামে ৬ টি প্রাইভেট হসপিটাল - ক্লিনিক এবং ৮ - ১০ টি রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার । তাছাড়াও উপজেলার অদূরেও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে । যা পরিচালিত হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের নিবন্ধন ছাড়া। অথচ এসব প্রাইভেট হসপিটালে সিজার সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল কঠিন অপারেশন করা হয়ে থাকে। যা এই এলাকার মানুষের জন্য ব্যাপক আকারে স্বাস্থ্য ঝুকি বহন করে।
বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ একেএম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, আমার নিকট জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এবিষয়ে একটি চিঠি এসেছে । চলতি মাসের ২ তারিখে আমরা প্রতিটি প্রাইভেট হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এগুলো হাতে পেলে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রাম পদ রায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের মুঠোফোনে জানান, অবৈধ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। তবে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। যদি অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তবে সে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
২৭ এপ্রিল ২০২১ ইং# মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
No comments:
Post a Comment