একুশ মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে মায়ের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সালমা আক্তার মুন্নি (৩০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীল কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মুন্নি কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের কালীগঞ্জ সমাজসেবা দপ্তরের মাঠকর্মি আব্দুল হামিদ বিশ্বাসের মেয়ে। তিনি যশোর সরকারী এম এম কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে বাড়িতে থেকে চাকুরীর জন্য প্রস্ততিমুলক পড়াশুনা করছিলেন। পরিবারের দাবি,কন্যা মুন্নির মৃত্যু করোনায় হলেও মেয়ের চিন্তায় মা শাহিনার মৃত্যু হতে পারে হৃদরোগে।
নিহত মুন্নির ভাই রিফাত হোসেন জানান,কিছুদিন আগে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মুন্নির। গত সপ্তাহে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রিফাত আরো জানান, প্রথমদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুন্নির সাথে মা শাহিনা আক্তার সময় দিয়ে সেবা শশ্রæষা করেছেন। এরপর তিনি বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার মধ্যেও কিছুটা করোনা উপসর্গ ছিল কিন্ত তেমনটা জটিল মনে হয়নি। মা সব সময় মুন্নির জন্য চিন্তা করতেন। পরিবারের লোকজন ভাবতেন চিন্তার জন্য এমনটি হতে পারে। ফলে করোনা পরীক্ষা করানো হয়নি। এমন অবস্থায় গত মঙ্গলবার তিনি মারা যান। গ্রামবাসীরও ভাবনা মা চলে গেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। বলতে বলতে রিফাত কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কালীগঞ্জের কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন বলেন,মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে মা মেয়ের মৃত্যুটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। এলাকার সকলেই মুন্নির করোনার বিষয়টি নিশ্চিত ছিলেন। কিন্ত তার মায়ের বিষয়টি তেমনটি বোঝা যায়নি। যাহোক যেভাবেই মৃত্যু হোক পরিবারটি বড্ড অসহায় হয়ে পড়লো।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment