মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম: ছবি: সংগ্রহিত
বাঁশখালীর গন্ডামারায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে ঘটনার দিন ৫ শ্রমিক নিহত সহ এ পর্যন্ত ৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শীমুল আহমেদ (২২) মৃত্যু বরণ করেন। এর আগের দিন ২০ এপ্রিল রাত দেড়টায় রাজেউল ইসলাম (২৫) চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। গত ১৭ এপ্রিল গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে পাঁচজন মারা গিয়েছিলেন।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ওই শ্রমিকের নাম শীমুল আহমেদ (২২)। তার বাড়ি মৌলাভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার জানাহুরা গ্রামে। তিনি ঘটনার দিন কোমরের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাজেউলের বোন স্বপ্না মুস্তারিন বলেন, ২০ তারিখ রাত দেড়টায় রাজেউল চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে বিদ্যুৎ প্রকল্পে বয়লার ম্যান ছিল। তার লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। রাজেউল ইসলামের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায়।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, শীমুল নামের আহত এক শ্রমিকের মৃত্যুর জানি। রাজেউল নামের কেউ মারা যাওয়ার খবর আমাদের জানা নেই।
উল্লেখ্য এ ঘটনায় মারা যাওয়া অপর পাঁচ শ্রমিক হলেন মাহমুদ রেজা (১৮), মোহাম্মদ শুভ (২৪), রনি হোসেন (২২), মোহাম্মদ রাহাত (২২) এবং মোহাম্মদ রায়হান (১৯)। এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত চলছে। একটি মামলা দায়ের করেছে এস আলম কতৃপক্ষ। অপরটি করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বিরোধী আন্দোলনে ৪ জন এবং ২০১৭ সালে একজন সহ এ পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
২২ এপ্রিল ২০২১ ইং# মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
No comments:
Post a Comment