সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
আজগড়া বেরিবাঁধ ধসের স্থানেই চলছে বালু উত্তোলণের মহাৎসব। যমুনার করাল গ্রাসে আজগড়া বেরিবাঁধ এলাকায় আবাদি জমিসহ বাসগৃহ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হারিয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বালু উত্তোলনের স্থানের অদূরেই ধসকৃত বেরিবাঁধ। গত বন্যায় বেরিবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে ধসে গেছে। মাটি উত্তোলনের পাশেই সরকারী ভেটেনারী কলেজ ও মৎস্য ইনস্টিটিউট যা হুমকির মুখে রয়েছে। বেরিবাঁধ ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে। ধসকৃত এলাকায় সংস্কার করতে টেন্ডার দেয় কর্তৃপক্ষ কিন্তু ধসকৃত স্থানের ১শত মিটার অদূরেই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাংলা ড্রেজার বসিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এসএম রবিন শীষ ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অবৈধ বালু উত্তলনের স্থানে উপস্থিতি টের পেয়ে বালু খেখোরা পালিয়ে যায়। এসময় সে অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধ করে দেয় তিনি।
ধসকৃত স্থানের অদূরে থেকে বাধঁ সংস্কার হলে সরকারী স্থাপনা ও বাঁধটি আবারো ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বেরিবাঁধের নিকটেই মাটির পয়েন্ট করে ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলণ করে বিক্রি করছে স্থানিয়রা। এভাবে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বাধঁ সংস্কার হলে সরকারী স্থাপনা ও বাঁধটি আবারো ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বেরিবাঁধ থেকে একটু নিকটেই মাটির পয়েন্ট করে ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলণ করে স্থানীয় মাটি খেকোরা উপজেলা বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করছে যা বেরিবাঁধসহ সরকারী স্থাপনা সরকারী ভেটেনারি কলেজ ও মৎস্য ইনস্টিটিট হুমকির মুখে রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, বেরিবাঁধের কিছু অংশ ধসে গেছে এবং বাঁধের সংস্কারের কাজও চলছে কিন্তু বেরিবাঁধেরর এতো নিকটে থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ভরাট করলে আবারো ধসে যাবে। স্থানীয় প্রভাবশালী দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী বদিউজ্জান ফকির, তার ভাই আব্দুল মান্নান ফকিরসহ একাধিক ভূমি খেকোরা বেরিবাঁধের নিকট থেকে বালু তুলে ট্রাক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন যায়গাতে বিক্রি করছে। এতে বেরিবাঁধ সরকারী স্থাপনা, সরকারী ভেটেনারি কলেজ ও মৎস্য ইনস্টিটিউটে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রবিন শীষ এই প্রতিবেদকে বলেন, অবৈধ ভাবে ট্রাকে করে বালু উত্তোলন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে যমুনা নদীর আজগড়া বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আসার আগেই টের পেয়ে বালু উত্তোলনকারিরা পালিয়ে যায়। আর যাতে বালু উত্তোলন করা না হয় সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফের অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment