আল আমিন মুন্সী :
ছবি: সংগৃহিত |
নিহত শিশু সাদিয়া ইসলাম তানহা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো:সোহাগ মিয়া ও কোহিনূর বেগমের কন্যা। অন্যদিকে অভিযুক্ত কোহিনূর বেগমের (২৪) বাবার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা দড়ি হাইরমারা এলাকায়। তার পিতার । তার পিতার নাম আবদুর রউফ মিয়া। অভিযুক্ত কুহিনূর ও স্বামী সোহাগ শিশু তানহাকে নিয়ে নরসিংদী সদরের বানিয়াছল এলাকায় রানী বেগম নামে এক মহিলার বাড়িতে ভাড়া থাকতো । পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, গত ১৩ মে সন্ধ্যায় বানিয়াছলের ভাড়া বাসায় ইদুল ফিতরের আগের দিন ইদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে স্বামী সোহাগ মিয়া ও স্ত্রী কূহিনূর বেগমের কলহ সৃষ্টি হয় ।
এসময় ঝগড়ার এক পর্যায়ে শিশু তানহার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী কূহিনুর। পরে এই লাশ কুহিনূরের বাবার বাড়ি রায়পুরার দড়িহাইরমারা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় কুহিনূর ।
পরবর্তীতে ১৭ মে শিশু তানহার পিতা ও অভিযুক্ত কুহিনূরের স্বামী মো: সোহাগ বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে ১ ঘন্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতার করে। সবশেষ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর দ্রুততম সময়ে মামলা তদন্ত ও সমাপ্ত করে মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে নরসিংদী মডেল থানা হতে মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়।
নরসিংদী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শিশু তানহার মা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জবাবন্দি পেয়েছি আমরা। এই ঘটনায় পুলিশ খুব দ্রুত কাজ করেছে । অভিযোগের মাত্র ৩ দিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সহ সকল কাজ সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।
শুক্রবার ২১ মে ২০২১ ইং# প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ এবং সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
No comments:
Post a Comment