একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
ছবি: সংগ্রহিত |
ছেলে হারনো পিতার আর্তনাদের গল্প! আমার ভাইপো বাঁচবেই মানাবিক ইঞ্জি. মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী ।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ মহান আল্লাহর ডাকে ১২ মে ২১ইং মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পরপারে পাড়ি জমালেন দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি ও সিটি নিউজ টিভির সম্পাদক সাংবাদিক মহিউদ্দিনের সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কলিজার টুকরা পুত্র ধন তৌকির। দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা প্রাণ পন চেষ্টা করেও বাচাঁনো গেলোনা তার ছেলেকে।
জানা যায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে বাচ্চা ভর্তি করার শুরু থেকে আস্থার শেষ ঠিকানায় প্রতিটি মূহুর্ত যে মানবিকতার বিরল দৃষ্টনান্ত স্থাপন করে গেছেন পরম মমতায় স্বজতনে নিজের আপন বড় ভাইয়ে মতো তার খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য এবং বর্তমান করোনা ম্যানেজমেন্ট সেলের ভাইস চেয়ারম্যান ও করোনা ইউনিটের প্রতিষ্টাকলীন উপদেষ্টা ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী।
সঙ্গে ছিলেন এক ঝাঁক বিভিন্ন বয়সের অভিজ্ঞ ডাক্তার। রাত-বিরাতে পরামর্শের জন্য ফোন করলে বিরক্ত না হয়ে হাসিমুখে সাবলীলভাবে পরামর্শ দেন এবং সর্বাত্মকভাবে তাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি সাংবাদিক মহিউদ্দিন কে। অদম্য সাহস ও যুগিয়েছেন ,বার বার আসস্থ্য করার চেষ্টা করে তাকে বলেছেন আমার ভাইপো ইনশাল্লাহ ভালো হয়ে উঠবেই। তাইতো বিগত ২৪ টি ঘন্টায় ডাক্তার নার্সদের সাথে পরামর্শের পাশাপাশি নিজেই বেশ কয়েকবার NICU তে গিয়ে খোঁজ খবর নেন । ১২ মে ২১ ইং রাত রাত ১ টা হাসপাতাল থেকে সর্বশেষ দেখে যান তার ছেলেকে ।
বাসায় ফিরে আবার রাত ২ টা ফোন করে জানতে চান কি পরিস্থিতি বাচ্চার, এভাবে সারারাত চলে গেল ভোর হতে না হতে মানুষটি ৫ টা বাজে পূনরায় ফোন দিয়ে জানতে চেষ্টা করল ছেলের অগ্রগতি সর্ম্পকে । এই মানুষটি সারারাত ঘুম না গিয়ে ৬ঃ ২৮ মিঃ আবার ফোন দিয়ে বলছেন তিনি হাসপাতালে আসতেছেন চিন্তার কোন কারণ নেই।
কি অসাধরণ মানবিক চরিত্রর গুনাবলি বহিঃপ্রকাশ? এরি মধ্যে ডাক্তার পিরোজা বেগম সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে ডেকে জানালেন জাবেদ স্যারের সর্বোচ্চ তদারকী আর আমাদের সব চেষ্ঠা ব্যর্থ হতে চলছে। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে যাচ্ছে তার ছেলে। ততক্ষণি লাইফ সার্পোটে থাকা ভেন্টিলেটর কাজ করছে না আর। ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হলো। ডাক্তার নিশ্চিত করলেন শতভাগ মানসিক প্রস্তুতি নিতে। হয়ত বা আর ২০ /৩০মিঃ মতো সময়কাল থাকবে।এ সময়ে বিপরীত দিক থেকে আবারও ফোন বেজে উঠল, সাংবাদিক মহিউদ্দিনের মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা গেল ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী ফোন জানার চেষ্টা করছে ছেলের সর্বশেষ পরিস্থিতি সর্ম্পকে। ডাক্তারের সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হলো।
এই রখম কঠিন সংকটের সময় ও তিনি তখনো তাকে সাহস যুগাতে ভূল করছেন না। সময় গড়িয়ে আস্তে আস্তে দিন ফেরিয়ে তখন সন্ধ্যা ৭ টা মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ল তার কলিজার ধন। এরি মধ্যে হাসপাতালে উপস্থিত ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী, অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মহিউদ্দিন কে বলছেন ভাই আপনার বাচ্চাটাকে বাঁচাতে পারলাম না মাফ করবেন। মৃত্যুর পর সাংবাদিক মহিউদ্দিনের ছেলেকে হাসপাতালের কনফারেন্স হলের সামনে থেকে শেষবারে মতো মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বিদায় দিলেন এই মানবিক মানুষ।
এসব তথ্য পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাংবাদিক মহিউদ্দিনের পেইজবুক ওয়াল থেকে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মহিউদ্দিন থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আজ আমার ছেলে বেঁচে নাই, কিন্তু যে মানুষটি এত পরিশ্রম করল ছেলেকে বাঁচানোর জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আর ও বলেন আমার জীবনের মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত জীবন্ত লিফলেট মতো স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এই মানবিক আইডল ব্যক্তি ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী। মহান আল্লাহর কাছে তার হাজার বছর বাচিয়ে রাখার কামনা করেন।
সাংবাদিক মহিউদ্দিনের ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে ছুটে আসেন আরেক মানবিক আইডল বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে কর্মরত ও বাঁশখালী গন্ডামারা বড়ঘোনা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি নুরুল মুহাম্মদ কাদের। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য বলেন ।ছেলের মৃত্যুর খবর শুন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন ও সমবেদনা জানানোর পাশা পাশি তার মানবিকতার গুনাবলির প্রকাশ ও ঘটান বলেও জানা যায়।
কে সেই ইঞ্জিঃ মো জাবেদ আবছার চৌধুরী!
দেশজুড়ে যাঁর পরিচিতি মহামারী করোনা সংকটে মানবিক ফ্রন্ট যুদ্ধা হিসাবে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য, প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা করোনা ইউনিট এবং বর্তমান করোনা ম্যানেজমেন্ট সেলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিভিন্ন সময় যিনি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন নানামুখী কর্মকাণ্ডে। তিনি একাধারে সংগঠক; আবার একজন সফল ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদও।
সফল ব্যবসায়ী থেকে মানবিক কর্মকান্ডে মাঠ কাঁপানো এই মানুষটি সাম্প্রতিক সময়ে বারবার আলোচনায় আসছেন। না, রাজনীতি কিংবা সাংগঠনিক কাজে নয়; হালে তিনি আলোচনায় মানবিকতার জন্য।
করোনাকালের শুরু থকে এখনো সার্বক্ষণিক পুরোটা সময় ধরে অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী।কখনো তিনি সাধারণ মানুষকে দিয়েছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী আবার কখনো দরিদ্রের হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। নিজের জীবনকে মানবতার সেবায় উৎসর্গ করে দিন রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে মানবিক আইকন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন।হাজারো অসহায় মানুষের সহায় সম্বলের বাতিঘর হিসাবে প্রতিনিয়ত কাজ করার রেকর্ড রয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার ১৩ মে ২০২১ ইং #সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
No comments:
Post a Comment