বাঁশখালীতে বাজারের দোকান দখল বিক্রি ও অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের অভিযান - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 20 May 2021

বাঁশখালীতে বাজারের দোকান দখল বিক্রি ও অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের অভিযান

একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: 

ছবি: একুশে মিডিয়া
বাজার ইজারাদার কর্তৃক অতিরিক্ত ইজারা আদায় ও দোকান দখল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নস্থ রামদাশ মুন্সির হাট ও গুনাগরী বাজার ইজারাদারের বিরুদ্ধে। বাজার ইজারাদারের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ নিয়ে হাজির হলেন বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম. শাহাদত আলম এর দরজায়।

রামদাশ মুন্সির হাট ও গুনাগরী বাজারের ব্যবসায়ী সূত্র জানা যায়, চলতি বছরের নতুন ইজারাদার হাসান কামাল এলাকার কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের নিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করে এই দুটি বাজার ইজারা নিয়ে দ্বিগুন ইজারা আদায় করছেন। এই ধরণের অভিযোগ নিয়ে ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফায় তর্ক বিতর্ক ও ঝগড়া হয়েছে। একদিকে অতিরিক্ত ইজারা আদায় অন্যদিকে দোকানগুলো ছোট করে দোকান দখল বিক্রি করছেন। গুনাগরী বাজারের নতুন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর‌্যন্ত দোকান দখল বাবদ এবং পুরাতন প্রত্যেক মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গড়ে ১০ হাজার টাকা করে এইভাবে কম-বেশি নতুন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন ইজারদার হাসান কামাল নিজেই।মুরগী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাদশার কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ইউনুসের কাছ থেকে ৩০ হাজার, মসলা ব্যবসায়ী চান্দুর কাছ থেকে ৫০ হাজার এবং অপর এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই ইজারাদারের বিরুদ্ধে।এছাড়াও এই বাজারের ৪ জন ব্যবসায়ী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে ১ লাখ ৫ হাজার, ৭০ হাজার, ৫৪ হাজার, ৩০ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে আদায়ের বিষয়ে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছে।

গুনাগরী বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী বাদশা বলেন, তাদের দোকানগুলো ছোট ও স্থান পরির্বতন করে দুটি দোকান বাবদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়েছি। ইউনুচ বলেন তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে, চান্দু বলেন ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রামদাশ মুন্সির হাট ও গুনাগরী বাজার ইজারাদার হাসান কামাল বলেন, আমি রামদাশ মুন্সির হাট ছাগলের দোকানে তেপাল দিতে গেলে সেখানে বাজার কমিটির লোকজন বাধা দিয়ে আমার কুটিগুলো ভাংচুর করেন সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। পরে আমি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দায়ের করি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) কাছে পাঠান। অভিযোগটি দিয়ে আমি বাড়ি ফেরার পথে গরুর বাজারের সামনে বাজার কমিটির লোকজন আমাকে হামলা করেন। হামলার পর আমি পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ করি, পুলিশ এসে তদন্ত করছে। দোকান দখল বিক্রির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দোকান দখল বিক্রি করি নেই, আমি গুনাগরী বাজারের দোকান সংস্কার ও মেরামত বাবদ ২৫ হাজার ও ২৮ হাজার করে নিয়ে দোকানের কাজ করছি।

রামদাশ মুন্সির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. রাকিব এ ব্যাপারে বলেন, ছাগলে বাজারে তেরপাল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাজার ইজারাদার যে অভিযোগটি দিয়েছে সেটি আমার তদন্তধীন রয়েছে, অভিযোগে যাঁদের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে, তাদের ওই সময় দেখা যায়নি এবং বাজারে তেমন কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি, বাজার ইজারাদার বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে হামলা করছে বলে ফোন করে অভিযোগ করলে আমি সাথে সাথে একদল পুলিশ নিয়ে সেখানে হামলার কোন চিত্র বার তেমন কোন লোকজন বা তার শরীরের আহতের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি।

রামদাশ মুন্সির হাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ফরহাদ আলম বলেন, এই বাজারটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার, এই বাজারে বহু ইজারাদার আসছে কিন্তু এ বছরের নতুন ইজারাদার বাজারের নতুন ব্যবসায়ীদের তিনি দখল বিক্রি করে আসছে এবং এই ছাগলের বাজারও দখল বিক্রির উদ্যেশ্যে তিনি কুটি ঘেরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করেন। এই বাজারের ছাগলের দোকান বসে একটি চলাচলের রাস্তায়, এখানে কুটি ঘেরে দোকান বসালে লোকজনের চলাচল সমস্যা হয়ে পড়বে, তাই তাকে এখানে ‍কুটি ঘেরে দখল না করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, এখানে কোন ধরণের ঘটনা ঘটেনি।তার অভিযোগটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ ব্যাপারে কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম শাহাদত আলম বলেন, রামদাশ মুন্সির হাট একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এই হাটে হঠাৎ একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করে আসছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমার কাছে অনেক ব্যবসায়ী লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি ওই কুচক্রী মহলের প্রতি আহবান জানাবো যাতে এই বাজার নিয়ে তাদের স্বার্থ হাছিল করতে গিয়ে বাজারের মান ক্ষুন্ন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করার জন্য। ইহার অন্যথায় উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের মাধ্যমে কুচক্রী মহলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।এদিকে বৃহস্পতিবার ২১ মে দিনব্যাপী রামদাশ মুন্সির হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম শাহাদত আলম। এ সময় তিনি দোকানদারদের বলেন, পূর্বের ন্যায় ইজারা পরিশোধ করবেন এবং তারা যদি অতিরিক্ত ইজারা দাবি করে সাথে সাথে আমাকে জানাবেন। আমি অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের কোন ধরনের সুযোগ দেব না এবং এই ঐতিহ্যবাহী বাজারের সুনাম ফিরিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ।

 

 

বৃহস্পতিবার ২০ মে ২০২১ ইং# প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ এবং সম্পাদক প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া সংবাদ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages