একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ছবি: একুশে মিডিযা |
১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, শেখ হাসিনা তখন তার ছোটবোন শেখ রেহানা এবং দুই সন্তানসহ স্বামীর কর্মস্থল পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ফলে তারা খুনিদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান। এদিকে চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সোমবার (১৭ মে) বিকাল ৪ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুম নতুন ভবনে গন্ডামারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছডা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহেনা আক্তার কাজেমী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম শাহাদত আলম, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ চৌধুরী, সরল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আবচার উদ্দীন চৌধুরী জান্টু, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, বৈলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দীন চৌধুরী, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল হক, বাঁশখালী পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট তোফাইল বিন হোসাইন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এরশাদুর রহমান চৌধুরী।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাঁশখালী পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদ উল্লাহ হামিদ, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আকতার হোসাইন, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমজিডি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলে পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। এছাড়া চলমান রয়েছে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ, দেশের মেগা প্রকল্পগুলো।
১৯৮১ সালের ১৭ মে তার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই আওয়ামী লীগ আজ দল হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশে এর আগে কেউ এত বছর সরকারপ্রধান হতে পারেননি। এর বাইরে ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। দলটি আজ তার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের স্মৃতি পেছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসেবে বাঙালিকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়। আপনি দীর্ঘজীবী হোন হে মহান নেত্রী। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই হোক সবার কামনা।
No comments:
Post a Comment