একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উপজেলার গুনাগরী মৌজা ২৩১৮ ও ২৩১৯ নং বিএস খতিয়ান, ৪৮৭৩ দাগে রাজার পাড়ায় পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি মিলিয়ে ২০শতক বা ১০ গন্ডা জমির চার পার্শ্বে বাউন্ডারি দেয়াল দিয়ে এক পার্শ্বে একটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে প্রায় দুই যুগ ধরে। গত মার্চ মাস শেষের দিকে বাড়ীর প্রয়োজনে প্রায় ১০-১২ ফিট গভীর করে একটি সেফটি ট্যাংক নির্মাণ করার জন্য কাজ শুরু করেন। এতে হঠাৎ মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ তুলে একই এলাকার মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে কামাল পাশা চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তির নেতৃত্বে ছয় জনকে বাদী করে তিন জনকে বিবাদী করে ফৌজদারী কার্যযবিধি আইনের ১৪৫ ধারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানির ফলে যে কোন মুহুর্তে ধসে যেতে পারেন তিনতলা ভবনটি।
সূত্র জানা যায়, যাঁদের বাদী করে মামলার মাধ্যামে জমি দাবী করেন,তাঁহারা কেউ উক্ত জমির মালিক নয়। এই জমির মালিক জনৈক মেলিম চৌধুরীর ক্রয়কৃত ও ভাগ বন্টনে প্রাপ্ত পৈত্তিক সম্পত্তি। স্থানীদের মতে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেফটি ট্যাংক নির্মাণ করার জন্য গভীর গর্ত করা জায়গার কাজ শেষ করা না হলে চলমান বৃষ্টির পানি ও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ভবনটি ধসে গিয়ে বড় ধরণের প্রাণঘাতীর মত দুর্ঘটনা ঘটে পারে বলে জানান।
এই বিষয়ে সেলিম চৌধুরী বলেন, আমি কারো সম্পত্তি দখল করে বাড়ী নির্মাণ করি নাই, এটি আমার ক্রয়কৃত ও পৈত্তিক সম্পত্তির চার পার্শ্বে বাউন্ডারি দেওয়াল দিয়ে আমি ২৪-২৫ বছর আগে বাড়ী নির্মাণ করে বশবাস করে আসছি। আমি যখন আমার পরিবারের প্রয়োজনে একটি সেফটি ট্যাংক নির্মাণ করতে কাজ শুরু করি, হঠাৎ একটি কুচক্র মহল আমার নামে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করে বসে।আমার কোন অবৈধ সম্পত্তির প্রয়োজন নেই। বরংচ আমার সম্পত্তি বিভিন্ন দাগে অভিযোগকারীরা জোরজবস্তি ভোগ করে যাচ্ছে। আমি স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের প্রতি সম্মান রেখে অনুরোধ করতেছি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা অভিযোগ টি আমলে নিয়ে সঠিক রায় প্রদান করে ঝুকিপূর্ণ থেকে আমার বাড়ীটি রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ উক্ত মামলাটি তদন্ত করার জন্য আমার উপর দায়িত্বটি দিয়েছে আমি ঘটনা সত্য নিচ্ছিত করতে যে জায়গায় জন্য অভিযোগ করেছে সেই স্থান পরিদর্শন করেছি, এখন কাগজপত্র সহ সব কিছু যাচাই বাছাই করতেছি, যেহেতু বিশাল গর্ত দেখে এসেছি যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে তাই অতি দ্রুত সমস্যা টি সমাধান করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর রিপোর্টি প্রদানের জন্য কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার ৩জুন ২০২১ ইং# প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ এবং সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
একুশে মিডিয়া.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
No comments:
Post a Comment