এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নে সেলিম জাহাঙ্গীর নামে এক প্রবাসী ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে প্রবাসীকে বাড়ী ছাড়া পরিবার কে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে ডিভোর্স হওয়া স্ত্রী নাসরীন আক্তার এর বিরুদ্ধে।পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষ নির্যাতন এর কথা বললে আমরা অনেকেই হাসি তামাশায় উড়িয়ে দিয়ে থাকি।কিন্তু নারী নির্যাতনের সংবাদ টি দেখলে অনেকটাই আবেগ আক্ষেপ এর ন্যায় পুরো লাইন গুলো পড়তে থাকি।
আসুন শুভপুর ইউনিয়নে ঘটে যাওয়া এই প্রবাসী স্বামী ও স্ত্রীর গল্পে মূলত কে হচ্ছেন নির্যাতিত?নিঃসন্দেহে আমরা নির্যাতিত পুরুষ কিংবা নারীর পক্ষের ই লোক।নিউজের সর্বশেষ অংশে রয়েছে বাদী পক্ষের দায়ের করা অভিযোগ এর প্রাপ্ত ভুল গুলো।প্রকাশ থাকে যে সেলিম জাহাঙ্গীর ইউনিয়ন এর দক্ষিণ হাজারী পাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেম এর পুত্র ও নাসরিন আক্তার একই ইউনিয়ন এর গোবিন্দ পুর গ্রামের মৃত হাজী হানিফ এর কন্যা।প্রায় ১২ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ হয়।
সংসার জুড়ে রয়েছে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান।হাজারীপাড়া গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যে সেলিম জাহাঙ্গীর এর পিতা মৃত আবুল হাসেম জীবদ্দশায় একজন সফল প্রবাসী ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি মধ্যে প্রাচ্যের আরবদেশ ওমানে অবস্থান করতেন। পিতার ধারাবাহিকতা সেলিম জাহাঙ্গীর ও তার ছোট ভাই শামীম ও ওমানে সফল ব্যবসায়ী সেলিম জাহাঙ্গীর প্রায় ১৮ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন।
পারিবারিক ভাবে কোলাহল মুক্ত অর্থনৈতিক অবস্থা স্বয়ং সম্পূর্ণ।পারিবারিক ভাবে আলাপকালে জানা যায় যে সেলিম জাহাঙ্গীর এর বিয়ের ২/৩ বছর পর থেকে স্ত্রী নাসরীন আক্তার সাথে প্রায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা হতোনা তা শুধু মাত্র প্রবাসে থাকা অবস্থায় সুখের শেষ নেই কিন্তু প্রবাস থেকে দেশে ছুটিতে আসা মাত্র ই শুরু হতো কথা-কাটাকাটি ইত্যাদি।
মূলত ঘটনার সূত্র ই হলো বিলাসবহুল জীবন যাপন কোলাহল মুক্ত পরিবেশ এন্ড্রয়েড এর রকমারি উন্নত ব্র্যান্ডের মুঠোফোন ই কাল হয়ে দাড়ানোর একটি ইঙ্গিত।প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর পারিবারিক অবস্থান ২টি সন্তান এর দিকে তাকিয়ে বছরের পর বছর নিরবে সয়ে যেতো স্ত্রীর মানসিক নির্যাতন।
লোক লজ্জার ভয়ে এতোদিন প্রকাশ না করলেও নিজের জন্মদাত্রী মা আদালতে কাঠ গড়ায় দাঁড়ানোর পর প্রকাশ না করে থাকতে পারলেন না প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর, তিনি জানান এরই মধ্যে প্রবাসে থাকা অবস্থায় অবিনব কৌশলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়ে বাবার বাড়ীতে সরিয়ে পেললো স্ত্রী নাসরীন আক্তার,কিন্তু তাতে ও ছিলোনা অভিযোগ সর্বশেষ গত ৩ ই জুন গভীর রাতে নিজের বাড়ির চাঁদে পরকীয়া আলাপরত অবস্থায় গোপনে ব্যবহার করা মুঠোফোন সহ স্বামীর নিকট হাতেনাতে ধরা পরে। পরদিন স্বামীর পরিবারের দেওয়া সংবাদে স্ত্রীর বাবার বাড়ীর লোকজন এসে তাকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর ৮ই জুন আদালত এর মাধ্যমে আইন গত প্রক্রিয়ায় নাসরিন কে ডিভোর্স প্রদান করেন।ডিভোর্স এর ১০/১২ দিন পর পরিকল্পিত ভাবে হাতে বেন্ডেজ লাগিয়ে স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানায় প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর ও তার ছোট ভাই প্রবাসী শামীম এবং মা কে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর অভিভাবক চাচা আব্দুস সোবহান বিএসসি সহ পুরো পরিবারের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ।এসময় তিনি স্থানীয় প্রশাসন কে অভিযোগ এর সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানায়িছেন। আমাদের ও পুলিশের তদন্তের উপর রয়েছে পরিপূর্ণ আস্থা। তবুও সেলিম জাহাঙ্গীর এর লম্বা ইতিহাস এর অন্তারালে নাসরিন আক্তার এর উপর কি ঘটেছিলো নির্যাতন? বিষয়টি আমাদের পরিষ্কার হতে হবে কেননা সমাজে এমন অসংখ্য প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর রয়েছে যাদের থেকে নির্যাতিত হচ্ছে আমাদের বোন।
দক্ষিণ হাজারীপাড়া ঘুরে আমাদের পদচলা নাসরিন আক্তার এর বাবার বাড়ী পাশ্ববর্তী গোবিন্দ পুর গ্রামে।কিন্তু আমাদের সাথে কোন প্রকার কথা বলতে কিংবা নাসরিন আক্তার এর পিতার বাড়ীর দরজা খুলতে রাজি না হওয়ার দৃশ্য টি সামান্য মাথায় গুরুপাক করছিলো কেনইবা আমাদের অবহেলা উপহাসের নজরে দেখবেন বাদী পক্ষের লোকজন।
আমরা তো তার শত্রু নই।ঠিক তখনই আমরা নাসরিন আক্তার এর দায়ের করা অভিযোগ গুলো বারবার অনুসরণ করতে থাকি তখন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এসে দড়া দিলো।মূলত স্বামীর থেকে প্রাপ্ত নির্যাতনের ঘটনা নাসরিন আক্তার থেকে শুনতে না পেলেও আমরা নাসরিন আক্তার এর দায়ের করা অভিযোগ এর মধ্যে কতিপয় ভুল মিথ্যার সাক্ষাৎ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শুভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, ডিভোর্স পরবর্তী সময়ে ছেলের পক্ষ একাধিক বার যোগাযোগ করেছে। স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে মেয়ের পক্ষকে অবহিত করার পর আসবে বলে আর আসেনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আরিফ হোসেন বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। এদিকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
"""অনুসন্ধানে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়"""
প্রাথমিক অনুসন্ধানে নাসরিন আক্তার এর বয়ান এর বহুরূপী ভাষা লক্ষনিয় যা পুলিশের তদন্তে সহায়ক হবে আশাবাদী""
আসুন স্ত্রী নাসরিন আক্তার এর কথা গুলো আমরা তুলে ধরতে চাই।সেলিম জাহাঙ্গীর হামলা করেছেন ৩ তারিখ নাসরিন আক্তার এর দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে দেখা। স্বাভাবিক ভাবে আমরা কোন পারিবারিক হামলার স্বীকার হওয়ার পর শারিরীক আঘাত প্রাপ্ত হল দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকি,তারপর সামাজিক বিষয় মাথায় আসলে স্থানীয় গন্যমান্যদের স্বরানপর্ন হয়ে থাকি কিংবা বিবাদী পক্ষ যদি শক্তিশালী হয় তাৎক্ষণিক আমরা থানা পুলিশের নিকট উপস্থিত হই।
এখানে স্ত্রী নাসরিন আক্তার চিকিৎসা সেবার জন্য সর্বপ্রথম চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর কুমিল্লা হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরে আসেন। এবং বাড়ী আসার পর ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা থানা পুলিশ নিকট কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়াই স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সাংবাদিক নিয়ে বাড়ীতে আসলেন।এ রপর শুরু করলেন ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী সেলিম জাহাঙ্গীর অমানুষিক ভাবে হাত ভেঙে দিয়ে বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিলো এমন একটি প্রচার।
প্রশ্ন হলো ১২ বছর ধরে যৌতুক এর টাকার জন্য সেলিম জাহাঙ্গীর কেনো অপেক্ষা করবে??কেনো হাতের মধ্যে বেন্ডেজ নিয়ে থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়নি??আসুন এই অপপ্রচার এর ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি পুলিশের প্রতি আস্থা শীল হয়ে স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু এবার তিনি বক্তব্য ক্ষানিকটা পরিবর্তন করে বললেন যে স্বামী সেলিম জাহাঙ্গীর সামান্য তুচ্ছ বিষয় কে কেন্দ্র করে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্য হামলা করে,সেলিম জাহাঙ্গীর এর ভাই ও মা এই কাজে সহযোগিতা ও তাকে আঘাত করে।
এছাড়া অভিযোগ দায়ের এর জন্য যা যা প্রয়োজন হয় সব লিখলেন।আমরা একবার এর জন্য সেলিম জাহাঙ্গীর কে ধোঁয়া তুলসি পাতা মনে করছিনা কিন্তু আপনি বাদী নাসরিন আক্তার এর অভিযোগ এর রুপ পরিবর্তন আমাদের এটা ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে আপনি মিথ্যাার আশ্রয় নিয়েছেন।
কিন্তু কেনো?কেনো আপনি একটায় বললেন ১৫লক্ষ টাকা যৌতুক এর না পেয়ে হামলা??
কেনো আরেক টি অভিযোগে বললেন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা??কি নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল কি চাইলে যেকোন উপায়ে ব্যবহার করা যায়??তবে সুষ্ঠু তদন্তে হয়তোবা আপনার হাতের বেন্ডেজ,সংশ্লিষ্ট ডাক্তার সহ নানাবিধী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।আমরা বিশ্বাস করি চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের চৌকস সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমার দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের গুণাবলি তে এই অভিযোগ এর একটি সঠিক সুষ্ঠু তদন্তে দায়ী ব্যক্তির উপর শাস্তি প্রদান করা হবে।এতে সেলিম জাহাঙ্গীর কিংবা তার পরিবার সনাক্ত হলেও আমরা তাদের বিরুদ্ধে চালিয়ে যাবো প্রচার প্রচারণা ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার ২৯ জুন ২০২১ ইং# সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়ার সংবাদ।
একুশে মিডিয়া.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
নিউজটি বিষয়ে আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
No comments:
Post a Comment