মোহাম্মদ হায়দার আলী (এম এ), নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ ও লোকালয়ের যানচলাচলের একমাত্র আশা ভরসার রাস্তা শাহজাহান চৌধুরী সড়কটি। এই সড়কটি আওয়ামী লীগের বাঁশখালীর প্রথম এম.পি. শাহাজান চৌধুরীর নামে। এটার অবস্থা মৃত্যুকুপের মত হয়ে দাড়িঁয়েছে। সর্ব সাধারণের চলাচলের সড়কটির নানান অংশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তার কোন কোন জায়গায় চুরত হাল পরিবর্তন হয়ে গিয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। নিচ্ছে না আর কেও খরব। রাস্তাটির সংস্কারের কোন সুসংবাদ ও পাচ্ছে না জনগন।
আশাহত ভূক্তভোগী স্থানীয় জনসাধারণ চেয়ে আছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নের জোয়ার দেখার জন্য। কোন সুরাহা দেখতে না পেয়ে কেও কেও বলাবলি করতেছে জনগণের চলাচলের রাস্তার হাল এমন হলে সমাজে উন্নয়নের দাবী করেন কিভাবে জনপ্রতিনিধিরা? তবে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বক্তব্য একটু ভিন্ন।
৫ নং পূর্ব ডোংরা ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ নুর হোসাইন একুশে মিডিয়াকে বলেন, ভাই আপনি একজন সাংবাদিক। আপনিত জানেন আমার ক্ষমতা কতটুকু? আমি একজন ইউপি সদস্য মাত্র। আমি বহুবার চেয়ারম্যান সাহেব কে এই রাস্তার বিষয়ে বলেছিলাম। তিনি নিজেও এসে দেখে গেছেন। তারপর ও কোন খবর পাচ্ছি না রাস্তাটি সংস্কারের। জানি না কেন জনগণের ও বহু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ সংলগ্ন রাস্তাটির কোন সংস্কার করা হচ্ছে না।
এমন অনেক দূঃখের কথা মেম্বার নুর হোসাইন একুশে মিডিয়াকে মোবাইল ফোনে বলেন। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তাকে কোন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব তাকে কয়েকবার সামান্য টাকা বরাদ্দ দিলেও তিনি উপযুক্ত টাকা পায়নি বলে পরিপূর্ণ কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে গতবার রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কতটাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২ লাখ ৫০ হাজার দিয়েছেন চেয়ারম্যান (মোহাম্মদ বদরুদ্দীন)। আমি সেগুলু কিছু অংশের কাজ করেছি। তবে প্রায় ৬কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ তো আর সামান্য টাকায় পরিপূর্ণ করা সম্ভব নয় আর আমার ক্ষমতাও সামান্য এমন অনেক মন্তব্য করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর হোসাইন।
স্থানীয় ভূক্তভোগী শাহ রাহমানিয়া মাদ্রাসা মসজিদের একজন সাবেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি ওমান প্রবাসী বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত। তিনি বলেন, পূর্ব ডোংরা শাহজাহান চৌধুরী সড়কটির পাশে রয়েছে শাহ পলোয়ান রাহমানিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, হিফজখানা ও এতিমখানা। আরও রয়েছে শাহ রহমানিয়া জামে মসজিদ। মাদ্রাসা, মসজিদ সংলগ্ন এই রাস্তাটিতে এমন খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে যার কারনে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা করিম বলেন, আমাদের এই সড়কটি দিয়ে চৌধুরী হাট হতে কদমরসূল পর্যন্ত যানচলাচল ও জনসাধারণের চলাচল রয়েছে। এটিই একমাত্র সড়ক যেটি দিয়ে বিবি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, আলতাফ আলী চৌধুরী প্রাইমারী স্কুল,কদমরসূল হাকিমিয়া মাদ্রাসা, মধ্যম ডোংরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সহ সর্ব সাধারণ যাতায়াত করে থাকে এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন এর নিকট কয়েকবার মোবাইলে কল দিলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি। তবে ভুক্তভোগী জনগনের একটাই প্রত্যাশা তারা যেন পূর্ব ডোংরা শাহজাহান চৌধুরী রাস্তাটির খুব তাড়াতাড়ি সংস্কার দেখতে পান। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট তারা আকুল আবেদন করেন দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পোর্টাল এর মাধ্যমে। শনিবার ১০ জুলাই ২০২১ ইং সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
একুশে মিডিয়া.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
নিউজটিতে আপনার মতামত কমেন্ট করুন ও শেয়ার করুন।
No comments:
Post a Comment