একুশে মিডিয়া, খাগড়াছড়ি রিপোর্ট:
খাগড়াছড়ির
নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ধান চাষের কাজ। এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় চারার ক্ষতি হয়নি। ফলে আমন ধানের চারা সংকট দেখা দেবে না এবয় বাম্পার ফলন হবে বলে জানান কৃষকরা।ছবি: সংগৃহিত
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরম আর বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি আমন ধানের জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের কাজে করছেন কৃষকরা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ করেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন জমিতে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার খাগড়াছড়ির নয় উপজেলায় উফশী ২৫ হাজার ২০৮ হেক্টর ও হাইব্রিড এক হাজার ৭৮২ হেক্টরসহ সর্বমোট ২৬ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলার মানিকছড়ি উপজেলার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি এবার বিআর-৪৯ জাতের ধান লাগাচ্ছেন ৪২ কানি জমিতে। গতবার এই ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবারো তিনি এই ধান আরো ১০ কানি জমিতে বেশি আবাদ করেছেন।
জেলার মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের তুলাবিল গ্রামের আলিমদ্দিন বলেন, বোরো ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় আমরা এবার আমন ধান লাগানো বাড়িয়ে দিয়েছি। আগে যখন ধানের কম দাম পেতাম তখন আমরা ৪ থেকে ৫ কানি জমিতে বোরো বা আমন ধানের চাষাবাদ করতাম। এবার আমরা ১০ থেকে ১২ কানি জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করছি।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্তুজ আলী বলেন, জেলায় এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। কৃষকরা পুরোদমে আমন ধানের চারা লাগানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই সেচ দিতে হবে না অতিরিক্ত। ফলে সেচ খরচ কমবে। আর আশা করি, এবার বোরোর মতই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে।
আজ বুধবার (০৪ আগস্ট ২০২১ইং) সম্পাদ্ক ও প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
একুশে মিডিয়া.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
নিউজটিতে আপনার মতামত কমেন্ট করুন ও শেয়ার করুন।
No comments:
Post a Comment