মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মসজিদের এক ইমানের বাড়ী আগুন লেগে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফ, কিতাব সহ ইসলামিক বিভিন্ন বই। এই মহা গ্রন্থের একটি অক্ষরও আগুন স্পর্শ করেনি।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ দক্ষিণপাড়া এলাকার মাওলানা আব্দুল গফুর বস ঘরে গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মাওলানা আব্দুল গফুরের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েগেছে। এ অগ্নিকান্ডে নগদ টাকাসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। এই ঘরে সব জিনিসপত্র ভস্মীভূত হয়। কিন্তু পবিত্র কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মাওলানা আব্দুল গফুর তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সহ পরিবারের ৫জন সদস্য নিয়ে এই ঘরে বসত বসবাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আমার একুশে মিডিয়াকে জানান, এই ঘরে পবিত্র কোরআন শরীফ, কিতাবসহ ইসলামিক বিভিন্ন বই ছিল। অন্যান্য জিনিসপত্র কয়লা হয়ে গেলেও আগুনের লেলিহান শিখা কোরআন শরীফের একটি অক্ষরও স্পর্শ করেনি। আগুনে কোরআন শরীফের সাদা অংশ কিছুটা কালচে দাগ হয়েছে। অক্ষত পাওয়া পবিত্র কোরআন শরীফটি দেখতে উৎসক জনতা ভিড় জমায়।
স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার পবিত্র গ্রন্থ হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনাই তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এই শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুচ ছবুর জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি, খবরটি শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌছান। আমাদের ফায়ার টিম ও এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ
ঘটনায় ১টি বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment