ইউএনও, ওসি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসারের নির্দেশেই গুনাগরী বাজারে অন্যন্যা দোকান সরিয়ে মাছ বাজার বসার জন্য খালী করছেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ। |
এই বাজারের কারণে দিনের অর্ধেক সময় রাস্তাটি বন্ধ থাকে। ফলে পাশের রাস্তায় যানজট লেগে থাকে প্রতিনিয়ত। বাঁশখালী উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুনাগরী চৌমুহনী চৌ-রাস্তার মোড যেমন চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার এবং বাঁশখালী টু সাতাকনিয়া একমাত্র যোগাযোগ পথ। এই এলাকায় রাস্তার ওপর মাছ বাজার বসায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যন্ত প্রায় আড়াই শ মিটার অংশ বন্ধ থাকে। ফলে বাঁশখালীসহ পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও সাতকানিয়া উপজেলার মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার সমস্যা হয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বাজারের বিভিন্ন দোকানের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সেখানে নাকে রুমাল চেপে চলতে হয়। স্থানীয়দের মতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ প্রশাসনকেও আরো তৎপর হতে হবে।
উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুনাগরীতে যানজট নিরসনে সোমবার (৩১জানুয়ারি) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বাঁশখালী থানার অফিসার (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ওমর ফারুক একদল পুলিশ স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের নিয়ে সড়কের ওপর থেকে মাছ বাজার সরিয়ে পূর্বের স্থানে মাছ বাজার বসার জন্য নিশ্চিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবদুল মুবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ, গুনাগরী চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক ছৈয়দুল আলম সহ স্থানীয় বিভিন্ন পেশার লোকজন।বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যানজট নিরসনে লক্ষে জনস্বার্থে নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত থাকেবে, কেউ যদি সড়ক বাজার বসায় তার বিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সড়কের যানজট সৃষ্টি করে গাড়ী দাড়িয়ে যাত্রী-নামা করলে তাদের বিরোধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment