মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
তরুণ ও যুবকরাই দেশ ও জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। দেশের টেকসই উন্নয়নকে গতিশীল করতে মূল চালিকাশক্তি তরুণ প্রজন্মই। কিন্তু এই তরুণ প্রজন্মকে নির্মম ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মাদক। ধ্বংসাত্বক মাদক রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি সুশীল সমাজ, মসজিদের ইমামদের সমন্বয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে।
সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে হবে।চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এক কর্মশালায়” উপস্থিত বক্তাগন উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
২২ আগস্ট’২২ ইং সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান চৌধুরী। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল কাদের এর সঞ্চালনায়।
অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার, চট্টগ্রাম মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম,বাঁশখালী থানার (তদন্ত) কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান, কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ আ,ন,ম শাহাদাত আলম, বাহারচড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম সালাউদ্দিন কামাল, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশিদ, শীলকূপ ইউপি চেয়ারম্যান কায়েস সরওয়ার সুমন, শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোরশেদুল আলম ফারুখী, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার, কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন, বিভিন্ন ইউপি মেম্বারবৃন্দ, সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী, মসজিদের ইমাম ও বাঁশখালীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।সভাপতির বক্তব্যে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তরুণ ও যুবকরাই দেশ ও জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। দেশের টেকসই উন্নয়নকে গতিশীল করতে মূল চালিকা শক্তি তরুণ প্রজন্মই। কিন্তু এই তরুণ প্রজন্মকে নির্মম ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মাদক। ধ্বংসাত্বক মাদক রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি সুশীল সমাজ, মসজিদের ইমামদের সমন্বয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে হবে।
কর্মশালায় মাদকের ক্ষতিকর প্রভাবের বর্ননা দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসনসহ সকল পেশার মানুষের সহযোগিতায় মাদক নির্মূল ও প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক ব্যক্তির পাশাপাশি একটি পরিবার এবং সমাজকেও ধ্বংস- নিঃস্ব করে দেয়। সম্মিলিত প্রচেস্টায় একমাত্র সম্ভব সমাজ থেকে মাদকের মুলোৎপাতন।
বক্তাগন তাদের বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেছে। তাই মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও চোরাচালান রোধকল্পে সীমান্তের সন্দেহজনক বিভিন্ন স্থানে টাস্কফোর্স অপারেশন পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে।
এছাড়াও জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে তাদেরকে ক্রীড়ামুখী করার পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে বলে এবং জনগনকে মাদকের ক্ষতির ব্যাপারে সচেতন এবং মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে জনগনকে স্বোচ্ছার করতে প্রত্যেক জুমার নামাজে সম্মানিত ইমামদের গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment