মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
আসন্ন ১১দিন ব্যাপী একবিংশ ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভ মেলা মহাসমারোহে উদযাপনের লক্ষ্য এক জরুরি সভা গত ২৯ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টার সময় ঐতিহ্যবাহী ঋষিধাম আশ্রম প্রঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিন বছর পর আবারও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আগামী ২৭শে জানুয়ারি ২০২৩ থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২১ তমথেকে শুরু হয়েছে ১১দিন ব্যাপী বাংলাদেশের একমাত্র একবিংশ ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতি তিন বছর পর পর অনুষ্ঠিত এই ঋষিকুম্ভ মেলাকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত তথা উপ-মহাদেশের লক্ষ লক্ষ সাধুসন্ন্যাসী ও পূণ্যার্থীরা ঋষিধামে উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় কার্যাদী সম্পূর্ণ করেন। বাঁশখালীতে শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ ১৯৫৭ সাল থেকে এই ঋষিকুম্ভ মেলার সূচনা করেন। বাঁশখালীতে এটি বিংশতম ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা।
সভায় পৌরহিত্যে করেন ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ। এতে উপস্থিত ছিলেন ঋষিধামের সন্ন্যাসী শ্রীমৎ সচ্চিদানন্দ পুরী। তড়িৎ গুহ, দীপক দত্ত, দীপংকর পাল, সুমন গুহ, সাজু মহাজন, ছোটন গুহ, সুমন চৌধুরী, লায়ন সন্তোষ নন্দী, দিলীপ দত্ত, সঞ্জয় সেন,সুব্রত চৌধুরী, শ্রী প্রকাশ দাশ অসিত ও সুমন চৌধুরী প্রমুখ।
স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ কর্তৃক নির্বাচিত বিশিষ্ট শিল্পপতি শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরীকে সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিত্ব অনুপ বরণ দাশকে সাধারণ সম্পাদক করে ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য যে,মোহন্ত মহারাজ সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ কুম্ভমেলা নিয়ে একটি মহল নানা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করছে দাবি করে বলেন, এই দুষ্টচক্রের অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। সুকুমার চৌধুরীকে সভাপতি, অনুপ দাশ বরণকে সাধারণ সম্পাদক ও তড়িৎ গুহকে অর্থ সম্পাদক করে কুম্ভমেলা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপনারা সবাই মেলায় আসবেন।
মেলার প্রথম দিনে ভোরে মঙ্গলারতি ও জয়গানে মঙ্গল আহবান, জাতীয় পতকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রা, শ্রীশ্রী গুরু মহারাজের পূজা, অতিথি শালার শুভ উদ্বোধন, শ্রী শ্রী গুরু মহারাজের ভোগরাগ ও সমবেত প্রার্থনা, মহা প্রসাদ বিতরণ, শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, ভক্ত সম্মেলন ও অদ্বৈত সঙ্গীতাঞ্জলি, দশমহাবিদ্যা পূজার অধিবাস, মহাপ্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ধারণা করা হচ্ছে এই বার মেলায় ১২-১৫ লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হতে পারে। গুরুর কৃপায় সকলের আন্তরিক উপস্থিতি ও সহযোগীতায় আশারাখি বিংশতম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও ঋষিকুম্ভ মেলা সকল ভক্তদের মিলন মেলায় পরিণত হবে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র ঋষিকুম্ভ মেলা।
No comments:
Post a Comment