একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম:
সাতকানিয়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো.আরিফ (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। মো. আরিফ আনোয়ারার সরকার হাট এলাকার মৃত আহম্মদ কবিরের ছেলে। ই-একুশে মিডিয়া
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর দুপুর দুইটার দিকে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য স্কুলে যায়। স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে মো. আরিফ তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের টয়লেটের পিছনে পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৪ বছর বয়সের এবং সাতকানিয়ার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখে আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় প্রাইভেট পড়ার জন্য স্কুলে যায়। প্রাইভেট শেষে স্কুল হতে ফেরার পথে আসামী মোঃ আরিফ ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের টয়লেটের পিছনে পরিত্যাক্ত স্থানে নিয়ে যায়। সে সময় শিশু ভিকটিম চিৎকার করলে আরিফ তার মুখ চেপে ধরে এবং বলে চিৎকার করলে একদম মেরে ফেলবো বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারী আরিফ ভিকটিমকে ধর্ষণপূর্বক বাড়ীতে চলে যেতে বলে এবং ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়ীতে আসলে তার অসুস্থতা দেখে তার মা তাকে হঠাৎ এমন অসুস্থ হওয়ার কথা জনতে চায়। তখন ভিকটিম তার মাকে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের কথা এবং তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানায়। তখন ভিকটিমের শরীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তার মা-বাবা তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে ধর্ষিতা শিশু ভিকটিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২০ ডিসেম্বর মো. আরিফকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি আরিফকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী শুরু হয়। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া চারটার দিকে আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো. আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। একুশে মিডিয়ার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment