একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
রোববার বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে তিনি পলোগ্রাউন্ডে জনসভাস্থলে পৌঁছান। এর পরপরই মঞ্চ থেকে এক হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং এক হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন সরকারপ্রধান।
১১টি মন্ত্রণালয়ের অধীন এসব প্রকল্পের মধ্যে লালদিঘী ময়দানের সংস্কার, হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প; চট্টগ্রামে বিপিসি ভবনের নির্মাণ; মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তোলা, নারীদের জন্য আবাসন ও প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণ; বাঁশখালীতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে।
এ সমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ভোর থেকেই তারা রঙবেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে, ব্যান্ড বাজিয়ে রঙিন টুপি পরে জড়ো হতে থাকেন পলোগ্রাউন্ডে।
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান দিয়ে সকাল ১০টায় মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর বেলা ১২টায় এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সভার কার্যক্রম।
শুরুতে স্থানীয় নেতারা বক্তৃতা দেন। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও নগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমদ, সহ সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ নেতারা বক্তব্য দেন এরপর।
১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যর মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে নৌকার আদলে। সেখান অন্তত ২০০ জন বসতে পারবেন। মঞ্চের সামনে বড় গোল আকৃতির বোর্ডে লেখা ‘নৌকায় ভোট দিন’।
প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসেন বেলা ৩টার পর। তবে জনসভাস্থল অনেকটা পূর্ণ হয়ে যায় দুপুর গড়ানোর আগেই।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সব প্রবেশ পথ দিয়ে বিভিন্ন যানবাহানে করে উপজেলাগুলো থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী মাঠের দিকে আসতে শুরু করেন সকাল থেকেই। শনিবার রাতেও অনেকে নগরীতে এসে পৌঁছান।
দূরবর্তী উপজেলাগুলো থেকে আসা নেতাকর্মীরা শনিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে এসে অবস্থান নেন। নেতাকর্মীদের মাঝে শনিবার রাতে ও রোবববার সকালে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় বিভিন্ন নেতার পক্ষে।
কর্মী- অনুসারীরা নেতাদের নাম ও ছবি সম্বলিত টি শার্ট ও টুপি মাথায় দিয়ে পলোগ্রাউন্ডের দিকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। সাথে ছিল ঢোল ও ব্যান্ড পার্টির বাজনা। জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, নেতাদের ছবি, প্ল্যাকার্ডসহ নানা সাজে সজ্জিত হয়ে তারা মাঠে প্রবেশ করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পটিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে চট্টগ্রামে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ ১৪ দলের জনসভার পর চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধানমন্ত্রীর আর কোনো সমাবেশ হয়নি।চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল-ছবি: একুশে মিডিয়া
No comments:
Post a Comment