একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী রিপোর্ট:
বাঁশখালীতে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে রিট মামলার বাদী ফরিদা আকতারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন সাইদুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এলাকার নুরুন্নবীর পুত্র। মামলার ফরিদার ছেলে ছমুদুল হক ও মেয়ে সুমি বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ফরিদা আকতার ও পরিবার বন্দোবস্তি লীজ মুলে ওই জায়গায় বসবাস করে আসলেও এলেও মামলাটিতে ফরিদা আকতার ও তার পুত্র কন্যাদের বিরুদ্ধে জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
- বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট নাজমুল আলম। এর আগেই বিগত ২০ নভেম্বর ফরিদা আকতারের জায়গা জবর দখল চেষ্টা ও গাছপালা কেটে বাঁশখালী পৌরসভার জঙ্গল জলদী আমিরাঘোনা এলাকার প্রায় ৫ কানি জায়গার উপর ঘরবাড়ি ভেঙে শত শত গাছপালা কেটে তান্ডব চালানোর ঘটনায় ফরিদা আকতার মহামান্য হাইকোর্টে গত ১ ডিসেম্বর রিট পিটিশন নং ১৪৯৯৩/২২ দায়ের করলে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিগত ১১ ডিসেম্বর তারিখে উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
-
- রিট মামলায় ভূমি সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ারসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় কাজ চলমান রয়েছে।
-
- মামলার বাদী সাইদুর রহমান জানান, তিনি বজলুর রহমানের মালিকানাধীন ১ কানি ৫ গন্ডা জমির খরিদা সুত্রে বর্তমান মালিক। ওই জায়গা তিনি বুঝে পেয়েছেন। এখন ফরিদা ওই জায়গার জন্য তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। গত ২০ ডিসেম্বর জায়গা সার্ভে করতে গেলে তিনি ও তার লোকজনের উপর হামলা করা হয়েছে।
-
- এই মামলার বিবাদী ও হাইকোর্টের রিট মামলার বাদী ফরিদা আকতার জানান, সাইদ ও তার লোকজন আমার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা দিয়েছে। আমার মামলায় হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা জোর করেই আমার জায়গার উপর কাজ অব্যাহত রেখেছে।
No comments:
Post a Comment